গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাদের বলব একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা
নিষেধ। একজন শিশু মাতৃগর্ভে আসার পর থেকে পৃথিবীতে আসার আগ পর্যন্ত গর্ভাবস্থায়
কি কি কাজ করা নিষেধ তা জানা অত্যন্ত জরুরী। কেননা মা এবং শিশু দুজনেই যেন নিরাপদ
এবং সুস্থ থাকে সেই জন্য গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ সেগুলো অবশ্যই মেনে
চলতে হবে।
গর্ভাবস্থায় একজন মা সুস্থ থাকলে তার পেটের শিশুটিও সুস্থ থাকবে সেজন্য
গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ সেগুলো জানা এবং মেনে চলা একজন মায়ের অতীব
জরুরী। প্রিয় পাঠকগণ চলুন তাহলে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক গর্ভাবস্থায় কি কি
কাজ করা নিষেধ। বিস্তারিত নিচে দেখুন-
সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
- গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
- গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে
- গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা হয়
- গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় কিভাবে বসা উচিত
- গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকের তিন মাস এবং শেষের দিকের তিন মাস একজন গর্ভবতী মায়ের
জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য অনেক সতর্ক
অবলম্বন করা আমাদের সকলেরই উচিত সেজন্য গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ এগুলো
ভালোভাবে জানা দরকার। তবে বিশেষ কোনো সমস্যা যদি না হয় তাহলে একজন গর্ভবতী মা
অন্য সময় যেভাবে চলাফেরা করে গর্ভাবস্থায় ঠিক সেভাবে চলাফেরা করতে কোন সমস্যা
হবে না। তবে এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো গর্ব অবস্থায় একজন মায়ের মোটেও করা
যাবে না। চলুন তাহলে গর্ব অবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করা যাক।
ক্ষতিকর ওষুধ খাবেন না
গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে যাবতীয় ওষুধ থেকে দূরে থাকায় ভালো। এমন কিছু ওষুধ আছে
যেগুলো মোটেও গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত না। তারপরও যদি গর্ভাবস্থায় ওষুধ খাওয়ার
প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। কেননা
যেগুলো ঔষধ মোটেও খাওয়া যাবে না সেগুলো যদি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার এবং আপনার
গর্ভের শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। অতএব গর্ভাবস্থায় কোন ওষুধ খাওয়ার আগে
অবশ্যই আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
কফি খাবেন না
কফি পান গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের জন্য বিশেষ ক্ষতির কারণ কেননা কফিতে রয়েছে
ক্যাফেইন যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অস্বাস্থ্যকর বটে। এছাড়া সব ড্রিংকস, সোডা
গ্রিন, টি তে ক্যাফে ইন থাকে তাই গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের এ সকল খাবার এড়িয়ে
চলায় উচিত।
কাঁচা ও আধাসেদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো
কাঁচা ও আধা সিদ্ধ খাবারের স্নেহ পদার্থ রয়েছে এজন্য একজন গর্ভবতী নারীর উচিত
গর্ভাবস্থায় কাঁচা ও আলাসিদ্ধ খাবার না খাওয়া। কারণ গর্ভাবস্থায় স্নেহ জাতীয়
খাবার শরীরের বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এছাড়াও সামুদ্রিক
খাবার খাবেন না কারণ সামুদ্রিক খাবারে অন্যান্য খাবারের তুলনায় স্নেহের
পরিবার অনেক বেশি থাকে।
জুতা নির্বাচন
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর আরামদায়ক এবং নরম জুতা বেছে নেওয়া উচিত। ঝুঁকে পড়তে
হয় এ জাতীয় জুতা না পড়াই ভালো। অতএব গর্ভাবস্থায় জুতা নির্বাচন করে পড়া
উচিত। যে সকল জুতা পরলে ক্ষতি হবে সে সকল জুতা না পড়াই ভালো।
প্রিন্টিং করবেন না
প্রিন্টিং করা গর্ভাবস্থায় মারাত্মক ক্ষতির একটা কাজ কেননা প্রিন্টিং এর মধ্যে
রয়েছে প্রচুর রাসায়নিক পদার্থ যার কারনে গর্ভাবস্থায় পেটের সন্তানের মৃত্যুর
কারণও হতে পারে। অতএব যিনি গর্ভবতী সে নিজে এবং তার কাছে যেন কোন প্রকার
প্রিন্টিং না করা হয়। এতে করে মা ও শিশু দুজনেই মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা
পাবে।
কারো পরামর্শ কানে তুলবেন না
বর্তমান যুগে পরামর্শ দেয়ার মানুষের অভাব নেই আপনি একটি সমস্যার কথা শুধু মুখ
দিয়ে বলবেন আর আপনাকে সাজেশন দেওয়ার বা পরামর্শ দেওয়ার লোকের অভাব থাকবে না।
অতএব গর্ভাবস্থায় কারো কথা বা পরামর্শ সোনার আপনার প্রয়োজন নেই। কেননা আমাদের
সমাজে কুসংস্কার এ ভর্তি হয়ে আছে। অতএব আপনি কারো পরামর্শ শুনে আপনি এবং
আপনার পেটের সন্তানের ক্ষতি করবেন না। যদি কোন কিছু প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই
ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
ধূমপান ও মদ্যপান হতে দূরে থাকা
আমরা জানি ধূমপান করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি কর আর গর্ভাবস্থায় এর
ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেশি। অতএব মদ্যপান ও ধূমপান হতে সবসময় দূরে থাকুন আপনি
এবং আপনার পেটের সন্তানকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই সকল প্রকার মাদক জাতীয় পণ্য
হতে দূরে থাকতে হবে। কেননা মাদক আপনার শরীরে খুব দ্রুত তার ইফেক্ট ফেলতে শুরু
করে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে
সন্তান গর্ভে আসার পর থেকে মা বাবা গর্ভধারিনী মা তার পিতা-মাতা এমনকি কাছের
আত্মীয়-স্বজন সবারই একটা জানার আগ্রহ থাকে পেটের সন্তান কেমন আছে? কোন দিকে আছে
এবং কি সন্তান হতে পারে। আজ থেকে প্রায় অনেক বছর আগে যখন কোন প্রকার আধুনিক
যন্ত্রপাতি ছিল না তখন মায়েরা বাচ্চার পেটের মধ্যে নড়াচাড়া অনুভব করে বলে
দিতে পারতেন বাচ্চাটি পেটের কোন দিকে আছে এবং কি সন্তান হবে ছেলে না মেয়ে।
তবে এ ধারণা সম্পূর্ণ মনগড়া এবং অনুমান করা যায় পেটের মধ্যে বাচ্চা যদি ডান
পাশে থাকে তাহলে সেটি ছেলে সন্তান হয়। আর যদি পেটের মধ্যে বাচ্চার নড়াচড়া বাম
পাশে এবং পেট ভারী হয়ে থাকে তাহলে সেটি কন্যা সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে বুঝতেই পারছেন এটা একটা ধারণা মাত্র।
বর্তমান যুগে অনেক আধুনিক প্রযুক্তির বের হয়েছে যা দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে
বোঝা যায় সন্তানটি ছেলে না মেয়ে এবং গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটে কোন পাশে থাকে তা
নির্ণয় করা যায়।
গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না
একজন নারীর গর্ভকালীন সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট তার জীবনের। কেননা এ
সময় তাকে হাসিখুশি থাকা জরুরী অনেক সচেতন ভাবে চলাফেরা করা জরুরী এ সকলের
পাশাপাশি কোন খাবারটা সে খাবে কোন খাবারগুলো তার খাওয়া উচিত হবে না সেগুলো
খেয়াল রাখা জরুরী। এ সময় নারীদের শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন সমস্যার মধ্য
দিয়ে পার করতে হয়। তাই যে সকল খাবার গর্ভ অবস্থায় খাওয়া যাবেনা সেগুলো জানা
খুবই প্রয়োজন।
গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা যেমন-আনারস, ক্যাফে জাতীয় খাবার, প্রসেস ফুড,
হাফ বয়েল ডিম, সামুদ্রিক মাছ, পেঁপে, তেঁতুল, অতিরিক্ত মিষ্টি, অতিরিক্ত খাবার
এর পাশাপাশি সকল প্রকার মানসিক টেনশন হতে দূরে থাকতে হবে কোন প্রকার দুশ্চিন্তা
ভয় রোগ শোগ করা যাবে না।
গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
মৃত সন্তান প্রসব ঠেকাতে কাত হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে শিশু মৃত্যুর হার অনেকাংশেই কমে যায়। কেননা গর্ভে
সন্তান অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাতৃগর্ভের ডান পাশে অবস্থান করে। যুক্তরাষ্ট্রের
গবেষণায় দেখা গেছে মা যদি এক পাশ করে শুয়ে থাকে তাহলে প্রতিবছর প্রায় ১৩০ টি
রোগ নবজাতকের জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
আরোও পড়ুনঃ মেয়েদের সাদা স্রাব বন্ধ করার উপায়
গর্ভাবস্থায় মায়েদের কাছে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনারা অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা
বলে যেকোনো এক পাশে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। অবশ্যই সেটা ডান পাশে হলে ভালো হয়
কেননা আমাদের শেষ নবীহযরত মুহাম্মদ সাঃ ডান কাতে ডান হাতের ওপর মাথা দিয়ে
ঘুমাতেন। এভাবে ঘুমালে পাশাপাশি আমাদের একটি সুন্নত পালন হয়ে যাবে। এতক্ষণে
নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়।
গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা হয়
গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরের সবথেকে যে সমস্যাটি বেশি অনুভূত হয় তা হলো শরীরের
হাড়ের সংযোগস্থল ঢিলা হয়ে যায় এবং ওই ঢিলা সংযোগস্থল ব্যথা করে। শরীরের
সাবানের অংশ অনেকাংশে বেড়ে যায় পেটের মধ্যে সব সময় ভারি ভারি লাগে। শরীরের
সামনে অংশ বেড়ে যাওয়ার কারণে পিঠের হাড়ে চাপ অনুভূত হয় এবং পিঠে প্রায় সময়
ব্যথা করতে দেখা যায়। পাশাপাশি প্রায় সময় বমি বমি ভাব হয়, কোমর ব্যথা করে,
কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়, পায়ে খিল ধরে, পায়ে পানি আসে বা ফুলে যায়, বুক
জ্বালাপোড়া করে, সাদা স্রাব বয়ে যায়। আশা করছি গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের কি কি
সমস্যা অনুভূত হয় তা বুঝাতে পেরেছি।
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে অনেক সময় নারীদের অনেক ঝুঁকির সম্মুখে পড়তে হয়।
গর্ভাবস্থায় একজন নারী যদি নয় ঘন্টা বা তার থেকে বেশি সময় ঘুমিয়ে কাটায় তবে
তার গর্ভের সন্তানের জন্য এটি একটি ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তবে মাঝে মাঝে দেখা
যায় গর্ভাবস্থায় পেট বড় হয় এবং হরমোনের নানা পরিবর্তন ঘটায় ঠিকমতো ঘুমাতে
পারে না। গর্ভ অবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় এর আরো অনেক কারণ রয়েছে
নিম নেতা আলোচনা করা হলোঃ-
- অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া
- সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করা
- শরীরের বেশি স্ট্রং না হওয়া
- বাচ্চা নিচের দিকে না নামা
- বাচ্চার মাথা বড় হয়ে যাওয়া
- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়া
- পেট এবং কোমর ব্যথা হওয়া
- পা ফুলে যাওয়া
- পায়ে পানি জমে যাওয়া
গর্ভাবস্থায় কিভাবে বসা উচিত
গর্ভবতী মহিলারা অধিকাংশ সময় অভিযোগ করতে থাকে যে তাদের পিঠ, ঘাড়, কাঁধ কোমর,
মাজা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা করছে। এর প্রধান কারণ হলো গর্ভ অবস্থায় একজন
মায়ের উঠে বসা দাঁড়ানো চলাফেরা অঙ্গভঙ্গি। কেননা এ সময় গর্ভবতী মহিলারা উঠে
দাঁড়ানোর সময় এবং বসার সময় তাদের শরীরে ঠিক রাখতে পারেনা যার ফলে সন্তান
এবং নিজেকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেজন্য গর্ব অবস্থায় একজন মাকে
উঠে দাঁড়ালো এবং বাসার ক্ষেত্রে বিশেষ একটি ভঙ্গিমা বজায় রাখা উচিত হবে।
আরোও পড়ুনঃ মাসিক না হওয়ার কারন
গর্ভাবস্থায় কিভাবে বসা উচিত এটা ব্যাখ্যা করতে গেলে আমি আপনাকে বলব আপনার যেটি
প্রধান কাজ হবে সেটি হল আপনি যখন উঠে দাঁড়াবেন বা বসবেন তখন যেন অবশ্যই আপনার
অঙ্গভঙ্গিটা সঠিক থাকে। আপনি যখন উঠে দাঁড়াবেন কিংবা বসে থাকবেন সেটি যেন অবশ্যই
সোজা হয় আর এটাকেই বলছে অঙ্গভঙ্গির সঠিক নিয়ম। শরীরের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে ঠিক
থাকলে যেকোনো মানুষ সুস্থ থাকতে পারে আর গর্ব অবস্থায় এটি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে
ওঠে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গর্ব অবস্থায় কিভাবে বসা উচিত।
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়
মুড়ির অনেক উপকারিতা রয়েছে, মুড়ি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কম খুঁজে
পাওয়া যাবে। শীতের সকালে খেজুর রসের সাথে মুড়ি বাঙালি একটি ঐতিহ্য বলা যায়।
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় তা জানুন। মুড়িতে এসিডের পরিমাণ কম থাকে তাই
গর্ভ অবস্থায় আপনি যদি মুড়ি খান তাহলে আপনার শরীরে বদহজম হবে না অর্থাৎ যে বমি
ভাবটা অনুভব হয় সেটা কমে যাবে গর্ভাবস্থায় আপনি নিয়মিত মুড়ি খেতে পারেন যাতে
আপনি আপনার সন্তান দুজনেই সুস্থ থাকবেন।
মুড়ি খেয়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং মিনারেল রয়েছে তাই গর্ভাবস্থায় আপনি
মুড়ি খেলে আপনার শরীরের ভিটামিন বি এবং মিনারেল এর ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন।
এছাড়াও মুড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফাইবার। যেহেতু
গর্ভাবস্থায় শরীরে হাড়ের ক্ষয় হয় মুড়ি খেলে মুড়ির ক্যালসিয়ামের কারণে তা
পূরণ করা সম্ভব। এছাড়াও মুড়িতে রয়েছে শর্করা যা আপনাকে এনার্জি
দিবে, এছাড়াও মরিতে রয়েছে ক্যালরি। যা আপনার পেটে ভরবে এবং শরীরে ক্যালরির
পরিমাণ বাড়াবে হালকা খিদেও মিটাবে অতএব গর্ব অবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় তা
নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।
পরিশেষে
পুরো আর্টিকেলটি জুড়ে আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি, গর্ভাবস্থায় কি
কি কাজ করা নিষেধ, গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে,গর্ভাবস্থায় কি কি
খাওয়া যাবে না, গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়, গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা
হয়, গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় কিভাবে বসা উচিত,
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়। আশা রাখছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন এ
ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট করতে আবার সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url