রমজান মাসের দোয়া । রমজান মাসের ফজিলত । রমজান মাসে করনীয়
প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই জানতে চাইছেন রমজান মাসের দোয়া রমজান মাসের ফজিলত রমজান মাসে করণীয় বিষয় সম্পর্কে। আপনাদের জানানোর সুবিধার্থে আজ আমি আলোচনা করব রমজান মাসের দোয়া রমজান মাসের ফজিলত রমজান মাসে করনীয় বিষয় নিয়ে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক রমজান মাসের দোয়া রমজান মাসের ফজিলত রমজান মাসের করণীয় বিষয় সম্পর্কে।
রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত মাস রমজান। এ মাসে আল্লাহ তাআলা নিয়ামত দিয়ে ভরপুর
করে রেখেছেন। রমজান মাসের দোয়া রমজান মাসে ফজিলত রমজান মাসে করনীয় কি কি তা
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সূচিপত্রঃ রমজান মাসের দোয়া । রমজান মাসের ফজিলত । রমজান মাসে করনীয়
- রমজান মাসের দোয়া
- ইস্তেগফার বেশি বেশি পড়ার কারণ
- জান্নাত চাওয়ার কারণ
- জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার কারণ
- রমজান মাসের ফজিলত
- রমজান মাসে করণীয়
রমজান মাসের দোয়া
এ মাসে নবীজি বিশেষ কিছু আমলের কথা বলেছে, রমজান মাসের দোয়া, জিকির তাওবা,
ইস্তেগফার রয়েছে। রমজান মাসের দোয়া করার মাধ্যমে মিলবে অনেকগুলো সুখবর। রমজানকে
স্বাগত জানাতে গিয়ে নবীজি সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম মুমিন মুসলমানদের বিশেষ
চারটি আমল, জিকির, দোয়া করার মাধ্যমে রমজান মাস কে অতিবাহিত করতে বলেছে।
কেননা রমজান মাসকে ইবাদতের বসন্তকাল বলা যেতে পারে। আমল চারটির মধ্যে দুইটি মহান
আল্লাহতায়ালাকে রাজি খুশি করার জন্য আর দুইটি নিজের জন্য। হাদিসে
এসেছে-
হযরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন, সাবান মাসে শেষ দিন
রাসূলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে-
হে লোক সকল! অবশ্যই তোমাদের সামনে মহান মাস, বরকতময় মাস এসে গেছে। এ মাসে তোমরা
চারটি আমল বেশি বেশি করবে। যার মধ্যে দুটি কাজ আর দুটি কাজ তোমাদের নিজেদের
জন্য।
আল্লাহর জন্য দুইটি আমল
১. কালেমার সর্বোত্তম তাসবি-
لَا اِلَهَ اِلَّا الله
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করা।
২. আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা। তাহলো-
কালিমা পাঠের কারণ
কালেমা পাঠ করলে মানুষের মন তাওহীদের দিকে ধাবিত হয়। সকল ধরনের শিরক থেকে নিজেকে
মুক্ত রাখতে পারে। যে কারণে আল্লাহ তালাহ যুগে যুগে নবী রাসূলগণ পৃথিবীতে প্রেরণ
করেছেন তারা আমাদেরকে মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে আহ্বান করেছে। রমজান মাস
আল্লাহতালা পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। কোরআন নাজিলের মাসে আল্লাহর
একত্ববাদের স্বীকৃতি দিতে বেশি বেশি কালেমা তাসবিহ পাঠ করতে বলা হয়েছে।
ইস্তেগফার বেশি বেশি পড়ার কারণ
আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের এই ইস্তেগফার এবং তওবার মাধ্যমে ক্ষমা করে থাকে
এই জন্য কোরআন শরীফের এবং রমজান মাসের দোয়া পাঠের ক্ষেত্রে বেশি বেশি তওবা
ইস্তেগফার করার ব্যাপারে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّهَ يَجِدِ اللّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا
‘যে গুনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে,
অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে,
সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময়, পায়।
(সুরা নিসা : আয়াত ১১০)
'নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামে নিম্ন স্তরে অবস্থান করবে। এবং তুমি কখনো তাদের জন্য সাহায্যকারী পাবে না কিন্তু যারা তওবা করে ও সংশোধন হয় তারা ব্যতীত।'(সূরা নিসা: আয়াত ১৪৫-১৪৬)
'হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।' (সূরা নূর: আয়াত ৩১)
তাইতো আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তোমরা তোমাদের রবের কাছে বেশি বেশি ইস্তেগফার করতে
থাকো। তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। যারা বেশি বেশি ঠিক পার করবে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে
অনেক কঠিন সমস্যা থেকে হেফাজত করবেন। তাহলো-
- দেশে যদি করা বা বিপদ্যায় তৈরি হয় তবে-আকাশ থেকে বৃষ্টি নামবে। দেশ কখনো মরুভূমিতে পরিণত হবে না বরং সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
- কারো যদি সন্তান-সন্ততি না থাকে আল্লাহ তায়ালা সন্তান-সন্ততি দিবেন।
- নিজেদের আয় রোজকারে বরকত সৃষ্টি করবেন কখনো আমরা অভাব অনুভব করব না।
- নদী নালা প্রবাহিত করে পরিবেশকে আরো সুন্দর করে তুলবে।
- চারিদিকে পরিবেশ সবুজ ময় করে তুলবেন।
নিজেদের দুইটি আমল
৩. আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করা।
৪. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি চাওয়া।
জান্নাত চাওয়ার কারণ
জান্নাত হচ্ছে মুমিনদের আসল ঠিকানা। যে ঠিকানায় মুমিনরা বসবাস করলে কখনো তারা
বৃদ্ধ হবে না। যে সকল জিনিসপত্র মুমিনরা জান্নাতে ব্যবহার করবেন তা কখনো পুরনো
হবে না। যেখানে বহমান থাকবে মধুমিশ্রিত নদী। মদের ফোয়ারা যেমত পানে দুনিয়ার মত
মাতাল হবে না। জান্নাতে কখনো মানুষের যৌবন শেষ হবেনা হাদীস শরীফে এ জান্নাত লাগে
প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন কিছু চায়না তার প্রতি রাগান্বিত হন।’
অতএব জান্নাত পেতে আল্লাহর কাজ বেশি বেশি প্রার্থনা করতে হবে মিনতি জানাতে হবে
আল্লাহ তাআলার কাছে রমজান মাসের দোয়া করার মাধ্যমে যেন তিনি আমাদেরকে জান্নাত
দান করেন।
জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার কারণ
আমরা জাহান্নামের আগুনে জ্বলি এটা আল্লাহতালা নিজেও পছন্দ করেন না। আমাদের
পরকালের জীবন যেন জাহান্নামে না যায় এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পেতে পারে
সেজন্য আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইতে হবে। এবং
আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আর ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের মহান
আল্লাহতালা সবচাইতে বেশি পছন্দ করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের এই হাদীসটিকে ঘোষিত চারটি আমল যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য
নিম্নে রমজান মাসের দোয়া হল তুলে ধরা হলো-
১. বেশি বেশি কালেমার এ তাসবিহ পড়া
لَا اِلَهَ اِلَّا الله
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লা’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই।
২. বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করা। সাইয়্যেদুল ইসতেগফারসহ কয়েকটি তুলে ধরা হলো-
أَستَغْفِرُ اللهَ
অর্থ : আমি আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
নিয়ম : প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন।' (মিশকাত)
৩. أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।‘
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।
নিয়ম : এ ইসতেগফারটি প্রতিদিন ৭০/১০০ বার পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।' (বুখারি)
৪. رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ : 'রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।'
অর্থ : 'হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।'
নিয়ম : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।' (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
৫. أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : 'আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।'
অর্থ : 'আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।'
নিয়ম : দিনের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। হাদিসে এসেছে- এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।' (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)
৬. সাইয়েদুল ইসতেগফার পড়া
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।'
অর্থ : 'হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গোনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।'
নিয়ম : সকালে ও সন্ধ্যায় এ ইসতেগফার করা। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ ইসতেগফার পড়তে ভুল না করা। কেননা হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি এ ইসতেগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে।' (বুখারি)
৭. জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া
اَللَّهُمَّ اَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَ اَجْرِنَا مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাতা ওয়া আঝিরনা মিনান নার।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও।’
৮. اَللهُمَّ انَّ نَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান নার।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাই।’
বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ঘোষণা করেন-
যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা ৩ বার জান্নাতের আশা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করবে, জান্নাত-জাহান্নামও আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তির দোয়া কবুলে সুপারিশ করবে। এ আমলগুলোকে রমজান মাসের দোয়া হিসাবে ধরা যায়।
রমজান মাসের ফজিলত
রমজান মাসের ফজিলত বলে শেষ করা যাবে না কেননা মহান আল্লাহ তা'আলা এই রমজান মাস
পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল করেছেন। আর সকল কারণের মধ্যে একমাত্র পবিত্র কোরআন শরীফ
এ মাসে নাযিল হওয়ার কারণে রমজান মাসের ফজিলত হাজার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আসমানী কিতাব সমূহের সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব বিশ্ব মানবতার সনদ সর্বযুগের
সর্ব দেশের জীবন ব্যবস্থার বিধান এই মহাগ্রন্থ আল কুরআন রমজান মাসে নাযিল করা
হয়েছে রমজান মাসের ফজিলতের কথায় বলে।
রমজান মাসে পবিত্র কোরআন শরীফ অবতীর্ণ করা হয়েছে এর অর্থ হচ্ছে যে, এ মাসে সমস্ত কোরআন মজিদকে লওহে মাহফুজ হতে প্রথম আসমানে নাযিল করা হয়। তারপর প্রয়োজন মোতাবেক সে স্থান হতে খন্ড খন্ড করে আমাদের শেষ নবী প্রিয় হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কাছে ওহী রূপে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এভাবে 23 বছরে ৩০ পারা কোরআন হযরত মুহাম্মদ সাঃ ওপর নাজিল হয়।
পবিত্র কোরআন শরীফ ছাড়াও পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহ এই মাসে নাযিল করা হয়েছে।
হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম রমজানের প্রথম কিংবা ৩ তারিখে সহীফা লাভ করেন। হযরত
মুসা আঃ রমজানে ৬ তারিখ তাওরাত কিতাব লাভ করে। হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম রমজান
মাসের 18 তারিখে যাবুর কিতাব লাভ করেন।
রমজান মাসে করণীয়
রমজান মাসে করণীয় বিষয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এ মাসে মহান আল্লাহর কাছে মাগফিরাতের জন্য বেশি বেশি করে দোয়া করুন। গরিব দুঃখী মানুষের পাশে তাদের খোঁজখবর নেই তারা ঠিকঠাক সেহরি করছে কিনা তারা ঠিকমতো ইফতারি করতে পারছে কিনা যদি না পারে সর্বোচ্চ তাদের সহযোগিতা করুন। ধানের হাত বাড়িয়ে দিন সদকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন নিজেকে সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখুন। যদিও রমজান মাস কিংবা অন্য মাস নয় প্রতিটা মুহূর্তে আমাদের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে তারপরও রমজান মাসের গুরুত্ব অনেক বেশি।
পরিশেষে কথাই বলতে চাই রমজান মাস হচ্ছে সংশোধনের মাস হয়তো 11 মাসে আপনি যা
করেছেন তা এই মাসে চিন্তা করুন এবং নিজেকে সংশোধন করুন। রমজান মাসের দোয়া রমজান
মাসের ফজিলত এবং রমজান মাসে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা
করছি আমার আলোচনা থেকে সামান্যতম হলেও উপকৃত হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো পোস্ট
পেতে নিয়মিত আমার সাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url