স্ক্রিনশট কিভাবে নিব গ্রামাটিক্যাল চেক কপিরাইটিং কি Plagiarism কি


আমরা যখন আর্টিকেল লিখি তখন আমাদের স্ক্রিনশট দেখানোর প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে যখন আমরা কোন কিছুর বর্ননা করে থাকি বা বুঝানোর চেষ্টা করি তখন স্ক্রিনশটের বেশি প্রযোজন হয়। এখন আমি আপনাদের বলব কিভাবে আপনি স্ক্রিনশট নিবেন।

সূচিপত্রঃ স্ক্রিনশট কিভাবে নিব গ্রামাটিক্যাল চেক কপিরাইটিং কি Plagiarism কি

আর্টিকেলে স্ক্রিনশট যুক্ত করার নিয়ম

মোবাইলে স্ক্রিনশট

মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো নিয়ম আছে তবে এটা নির্ভর করে আপনি কোন ডিভাইস ব্যবহার করছেন। কিছু কিছু ডিভাইসে ভলিউম আপ এবং ভলিউম ডাউন একসাথে চাপ দিলে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়। আবার অনেক ডিভাইসে ভলিউম আপ এবং পাওয়ার বাটন একসাথে চাপ দিলে স্ক্রিনশট নেয়া যায়। এছাড়াও অনেক ডিভাইসে স্ক্রিনের ওপর তিন আঙ্গুল চাপ দিয়ে নিচের দিকে টানলে স্ক্রিনশট হয়ে যায়। 

আপনি যেভাবে স্ক্রিনশট নেন না কেন, আপনার যে অংশটুকু প্রয়োজন সেটুকু রেখে বাকি অংশটুকু বাদ দেওয়াই ভালো। এরপরও যদি না বুঝতে পারেন তাহলে আপনার ফোনের ডিভাইসের নাম লিখে গুগলে সার্চ দিলে জানতে পারবেন কিভাবে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়।

ডেক্সটপ অথবা ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম 

একটা অথবা ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় আপনি যে অংশটুকুর স্ক্রিনশট নিবেন সে অংশটুকু স্ক্রিনে ভাসিয়ে রাখতে হবে। এরপর স্টার্ট বাটনে গিয়ে snipping tool ওপেন করার পর new এ চাপ দিয়ে যতটুকু অংশ স্ক্রিনশট নিব সে অংশটুকু সিলেক্ট করতে হবে তাহলে দেখবেন snipping tool এ যাবে এরপর Ctrl+s চাপ দিয়ে সেভ করতে হবে।

অনেক সময় আমরা পুরো স্ক্রিনের স্ক্রিনশট নিয়ে ফেলি সেক্ষেত্রে যেটুকু অংশ প্রয়োজন সেটুকু অংশ নেওয়ার জন্য আমরা ফটোশপ ইউজ করব। প্রথমে ফটোশপ সফটওয়্যার টা ওপেন করব এরপর আপনি যে স্ক্রিনশটটা নিয়েছেন সেটাকে ফটোশপে নিয়ে আসবো।

এরপর ক্রোপ টুল সিলেক্ট করে রাইত বাটনে ক্লিক করে প্রথমে যেটা আছে সেটা নিব। এরপর ছবির উপর রাইট বাটনক্লিক করে ক্লিয়ার রেশিও করে নেব তাহলে ছবির যে কোন সাইট কেটে বাদ দিতে পারবেন। আপনার প্রয়োজনীয় অংশটুকু নিয়ে সেভ করে নিতে হবে।

স্ক্রিনশট বা ছবির উপরে ওয়াটার মার্ক করার নিয়ম

স্ক্রিনশট বা ছবির উপরে ওয়াটার মার্ক করার জন্য প্রথমে আমরা টাইপিং টুলস বা টেক্সট টুল ট সিলেক্ট করব একবার ছবির উপরে একবার ক্লিক করব। লিখার সাইজ যদি বড় থাকে তাহলে ctrl+a চাপ দিয়ে সিলেক্ট করে লিখার সাইজ ছোট করে নিব।

এরপর ctrl+a চাপ দিয়ে সিলেক্ট করে লিখার সাইজ ঠিক করে ভিতরে যেটা লিখতে চান সেটা লিখে নিতে হবে। এখন ctrl+t চাপ দিয়ে ইচ্ছা মতো অ্যাঙ্গেল বা আপনি যেখানে রাখতে চাই সেখানে রেখে দিন। এরপর  opacity লেয়ার সিলেক্ট করে opacity কমায় দিতে হবে। এরপর সেভ করব ctrl+alt+shift+s বাটন চাপ ‍দিয়ে।

Screenshot এর উপরে মার্ক করার নিয়ম

স্ক্রিনশটের উপরে মার্ক করার জন্য অনেকগুলো টুলস আছে যার মধ্যে ব্রাশ টুলস ভালো। প্রথমে ব্রাশ টুলের রাইট বাটনে ক্লিক করে ওপেন করে নিতে হবে এরপর স্ক্রিনশটের যে অংশ মার্ক করবেন সেখানে মার্ক করতে পারবেন। ব্রাশ টুলের সাইজ ছোট বড় করার জন্য কিবোর্ডের p এর পাশে থার্ড ব্রাকেট রাইট চাপ দিলে বড় হবে এবং লেফটে চাপ দিলে ছোট হয়। এভাবে আপনি মার্ক করতে পারবেন।

গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার


আমরা যখন কোন আর্টিকেল বা কনটেন্ট লিখে থাকি তখন আমাদের গ্রামাটিকাল বা বানানে ভুল হয়ে থাকে। সেগুলো আমরা কিভাবে ঠিক করব চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। গ্রাবাটিকাল এরর সাধারণত দুই ভাবে কাজ করে বাংলায় এবং ইংলিশ।


 ইংলিশ লেখার সময় কোন বানান ভুল থাকলে তার নিচে লাল দাগ থাকে সেক্ষেত্রে আমরা নির্দিষ্ট বানানের ওপর রাইট বাটন ক্লিক করলে সঠিক বানানটি সাজেস্ট করবে সেখান থেকে আমরা সঠিক বানান নিয়ে নিতে পারব। বাংলায় লেখার সময় আমরা অভ্র স্পেল চেকার ইউজ করে বাংলা বানান ঠিক করব।

কপিরাইটিং বিশ্লেষণ কি জেনেনিন

কপিরাইট কথাটা শুনলেই মনে হবে কোন জায়গা থেকে একটি লেখা কপি করে এনে অন্য জায়গাতে পেস্ট করা বুঝায়। কিন্তু কপিরাইট বলতে মূলত অন্য কিছু বোঝায় কপিরাইট বলতে কি বোঝায় চলুন তাহলে জেনে নেই। আপনি যখন কোন সেবা বা প্রোডাক্ট কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিবেন এবং কাস্টমার সেটি গ্রহণ করবে এই প্রক্রিয়াকেই কপিরাইট বলে। এর জন্য আমরা তিনটি জিনিস ফলো করবো।
  1. Attention
  2. Promise
  3. Call to action
Attention বলতে বোঝায়, ধরুন আপনি কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা সেবা বা প্রোডাক্টের এড দিয়েছেন। এবং সেটা সম্পর্কে এমন একটি বাক্য লিখেছেন যা দেখে কাস্টমারের ভালো লেগেছে এবং সেটি পড়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে এটাই হচ্ছে Attention.

Promise প্রমিস বলতে বোঝায়, আপনি যে সেবা বা প্রোডাক্টটি সেল করতে চাচ্ছেন তার ভালো সম্পর্কে ভালো দিক তুলে ধরেছেন এবং কাস্টমার সেটি বিশ্বাস করেছে এটাই হচ্ছে Promise.

Call to action বলতে আমরা বুঝি, কাস্টমার আপনার বিজ্ঞাপনটি দেখার পরে ফাইনালি সে সেবাটি গ্রহণ করল অথবা প্রোডাক্টটি ট্রাই করল এটাই হচ্ছে Call to action.

Plagiarism কি? কেন করবেন না

Plagiarism বলতে বোঝায় কোন ওয়েবসাইট থেকে, তার পুরো লেখা, একটা প্যারাগ্রাফ অথবা একটা লাইন কপি করে এনে অন্য ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করাকে Plagiarism বলে। Plagiarism কেন করবেন না কেননা Plagiarism করলে আপনার সাইডে অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে যেমন ধরুন আপনি কারো সাইট থেকে কোন লেখা কপি করে এলো আপনার সাইডে পাবলিস্ট করেছেন। এবং সেই সাইটের মালিক যদি আপনার বিরুদ্ধে কপিরাইট মামলা করে তাহলে আপনার সাইট ব্যান্ড করে দিতে পারে।

আপনার সাইট থেকে কোন কিছু চুরি হয়েছে কিনা সেটা জানার জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করা লাগবে। আপনার যে অংশটুকু সন্দেহ হবে সেই অংশটুকু কপি করে সাইডে গিয়ে সার্চ করলে আপনার তথ্য চুরি হয়েছে কিনা জানতে পারবেন। Plagiarism বিষয়টি আশা করি আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url