ওজন কমানোর উপায়
সারা বিশ্বেই এখন ওজন বেশি হওয়ার সমস্যাটি কম বেশি সবার মধ্যেই দেখা যায় এইজন্য সবাই ওজন কমানোর উপায় খুঁজেন। শরীরের ওজন বেশি হয়ে গেলে শুধু যে বাহ্যিকভাবে দেখতে অসুন্দর লাগে তাই নয় এটির কারণে বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এই কারণে সকলেরই ওজন কমানোর উপায় গুলো জানা প্রয়োজন।
সূচিপত্রঃ ওজন কমানোর উপায়
- মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
- প্রতিদিন এক কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
- ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
- ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
- লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
- ২০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
- ৩০ দিনে ওজন কমানোর উপায়
- ৭ দিনে ওজন কমানোর উপায়
- ওজন কমানোর খাবার তালিকা
- মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
- তিন দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
- প্রাকৃতিক উপায় ওজন কমানোর উপায়
- দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
- পেটের মেদ কমানোর উপায়
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
মেয়েদের অতিরিক্ত ওজন মানেই সমস্যা, কারণ ঘরে ও বাইরে তাকে হতে হয় হাসির পাত্র।
এই কারণে ওজন বেড়ে গেলে মেয়েরা খুবই দুশ্চিন্তা গ্রস্থ থাকে এবং তারা খুঁজতে
থাকে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়। মেয়েদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য আজকে আপনাদের
সাথে আলোচনা করা হবে মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় নিয়ে। ওজন বাড়লে যে
শুধু হাসি পাত্রই হতে হয় তাই নয় ওজনের সাথে সাথে শরীরের নানা ধরনের রোগ ব্যাধিও
বাসা বাঁধে, তাহলে আর দেরি না করে তাহলে জেনে নিয়ে মেয়েদের দ্রুত ওজন
কমানোর উপায় গুলি।
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় গুলো মোটামুটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এগুলো
হলো, খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম।
খাওয়া ঃ ওজন কমানোর প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো খাওয়া। আপনি যদি
আপনার খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তবে কখনোই আপনি দ্রুত ওজন কমাতে
পারবেন না। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত , পুষ্টিকর ,
ভিটামিন সমৃদ্ধ , সাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো বেশি খেতে হবে। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর
এবং ভাজাপোড়া ,ফাস্টফুড খাবার বাদ দিতে হবে। খাওয়া-দাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করা মানে
এই নয় যে আপনি একেবারেই খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিবেন। আপনাকে অবশ্যই পরিমিত
পরিমাণে খেতে হবে। একবারে বেশি খাবার খাওয়া যাবে না অল্প অল্প করে বারবার খেতে
হবে।
ঘুমঃ মেয়েদের দ্রুত স্বাস্থ্য কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো নিয়মিত এবং
পরিমিত ঘুম। অনেকেই সাংসারিক বিভিন্ন কাজের ঝামেলায় ঠিক মতন ঘুমাতে বা উঠতে
পারেন না। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করতে হবে।
পর্যাপ্ত না ঘুমানো শরীরে মেদ জমার অন্যতম কারণ।
প্রতিদিন এক কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
প্রতিদিন এক কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন। নিজে আপনাদের
সুবিধার জন্য প্রতিদিন এক কেজি করে ওজন কমানোর উপায়গুলো তুলে ধরা হলো।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে কারণ পানি শরীরের টক্সিন বের করে দেয়।
- কার্বোহাইড্রেট খাদ্য তালিকা থেকে সম্পুন্ন বাদ দিতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণে শসা খেতে হবে
- ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর থেকে ঘাম ঝরাতে হবে
- দিনের মধ্যে কয়েকবার পানির সাথে মিশিয়ে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পান করতে হবে।
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
কিভাবে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানো যায় সেই সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা
হবে।৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় গুলো জানলে আপনি খুব সহজেই আপনার
শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলতে পারবেন। তাহলে জেনে নিন ৭ দিনে ১০কেজি মেদ
কমানোর উপায়।
- জিরা পানিঃ জিরা ভিজানো পানি ওজন কমাতে বেশ ভালো কাজ করে, এই জন্য আপনাকে রাত্রেবেলা তিন থেকে চার চামচ জিরা একগ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সারা রাতে জিরা গুলো ভিজে যখন লালটি ভাবের পানি বের হবে সেই পানিটি আপনাকে পান করতে হবে। এভাবে অন্তত ছয় থেকে সাত দিন পান করলেই আপনি শরীরের মেদ বা ওজন ধরিয়ে ফেলতে পারবেন।
- মাছের তেলঃমাছের তেল শরীর কমাতে খুব ভালো কাজ করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত সাত দিন মাছের তেল খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার শরীরের মেদ কমানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
- আদাঃ আদা নামের এই মসলাটি আমাদের ঘরে সব সময় থাকে। আপনি চাইলে এই আদার মাধ্যমেও সাত দিনে আপনার মেদ কমিয়ে ফেলতে পারেন। দিনের মধ্যে কয়েকবার করে আদা পানি অথবা আদা চা পান করুন। খুব দ্রুত দেখবেন আপনার শরীরের মেদ কমে গেছে।
- আপেল সিডার ভিনেগারঃ শরীরের মেদ কমানোর জন্য আপেল সিডার ভিনেগার এর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়তোবা আর একটিও নেই। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে সাত দিন নিয়মিত খান তাহলে আপনার শরীরের মেদ কমে যাবে এবং আপনি ফিট থাকবেন।
- শসাঃ সাত দিনের মধ্যে শরীরের মেদ কমাতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে শসা খেতে হবে।কারন শশা শরীরের মেদ কমাতে খুব ভালো কাজ করে।
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য একটি খুব সহজ পদ্ধতি হলো লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়। আপনার যদি না জানা থাকে তাহলে এখনই জেনে নিন লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে। লেবু দিয়ে ওজন কমাতে হলে আপনাকে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লেবুর রস খেতে হবে। এই লেবুর রস আপনাকে কিভাবে খেতে হবে তা জেনে নিন ,প্রথমে এক গ্লাস পানি হালকা গরম করে নিন।
এরপর সেই কুসুম গরম পানিতে দুই থেকে তিন চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে পান করুন। আপনি যদি টক খেতে পছন্দ না করে তাহলে লেবু এবং গরম পানির সাথে কিছুটা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে হ্যাঁ কোনোভাবেই চিনি মেশানো যাবে না কারণ চিনি মেশালে শরীরে ওজন বেড়ে যাবে এবং আপনি মধু খাওয়ার উপকারিতা কি পাবেন না। লেবু পানি খাওয়ার কমপক্ষে একঘন্টা পরে আপনাকে নাস্তা করতে হবে।
২০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
২০ কেজি ওজন কমানোর জন্য, ওজন কমানোর খাবার তালিকা এর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া
উচিত। আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এই জন্য, ২০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
নিয়ে হাজির হয়েছি। নিচে নারী ও পুরুষের আলাদা আলাদা করে ২০ কেজি ওজন
কমানোর এর খাবার তালিকা দেয়া হলো।
২০ কেজি ওজন কমানোর উপায়ঃ প্রতিদিন খাবার হিসেবে মোটা লাল চালের ভাত- ৪ ছটাক বা ২৫০ গ্রাম,আটা- ৪ছটাক বা ২৫০ গ্রাম,ডাল অথবা ডাল জাতীয় খাবার -১ .৫ ছটাক বা ৯০ গ্রাম,ছোট মাছ - ১ ছটাক বা ৬০ গ্রাম,মিষ্টি আলু -২ ছটাক বা ৯২৫ গ্রাম,বিভিন্ন ধরনের শাক -১.৫ ছটাক বা ৯০ গ্রাম,সবজি জাতীয় খাবার - ১.৫ ছটাক বা ৯০ গ্রাম,যেকোনো ফল- ২/৩ টি,তেল - ১ ছটাক বা ৬০ গ্রাম,চিনি অথবা গুড়- ০.৫ বা ৩০ গ্রাম।
এছাড়াও, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার এই ২০
দিন একেবারে বাদ দেওয়াই ভালো, প্রতিদিন সকালে উঠে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খালি
পেটে এবং সন্ধ্যাতে খালি পেটে খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে শসা খেতে হবে।
৩০ দিনে ওজন কমানোর উপায়
শরীরের ওজন বেড়ে গেলে দেখতে যেমন খারাপ লাগে সেরকম শরীরের ভিতরে বিভিন্ন
ধরনের রোগ ও বাসা বাঁধে। এই কারণে শরীরের ওজন বেড়ে গেলে দ্রুত সেটি কমিয়ে ফেলাই
ভালো। তবে একবারে শরীরের উপরে বেশি চাপ দিয়ে ওজন কমানো উচিত নয় এই কারণে একটু
একটু করে দিনে দিনে ওজন কমানোটাই সবচাইতে ভালো। আজকে আপনাদেরকে জানাবো ৩০ দিনে
ওজন কমানোর উপায়। ৩০ দিনে ওজন কমানোর উপায় গুলো ঠিকঠাক মতন ফলো করলে এক মাসের
মধ্যে আপনার ওজন কমে শরীর স্লিম হয়ে যাবে। ৩০ দিনের মধ্যে ওজন কমাতে হলে আপনাকে
অবশ্যই
- দ্রুত খাবার না খেয়ে আস্তে ধীরে খাবার খেতে হবে
- সুষম এবং ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে
- মিষ্টি এবং চিনি যুক্ত খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না
- কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না আর খেলেও খুবই সামান্য পরিমাণে খেতে হবে
- তৈলাক্ত খাবার এবং ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার একেবারে নিষিদ্ধ করতে হবে
- তিন বেলা খাবার পরে গ্রিন টি পান করতে হবে
- প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে আপেল সিডার ভিনেগার অথবা লেবু পানি খেতে হবে
- প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া চলবে না
- নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে
৭ দিনে ওজন কমানোর উপায়
৭ দিনে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনার কি জানা আছে। যদি জানা না থাকে তাহলে আজই জেনে নিন ৭ দিনে ওজন কমানোর উপায় গুলো।
আদা ও শরীরের মেদ কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। গ্লাস পানির মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে, দিনের মধ্যে কয়েকবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে আপনার শরীরের এবং তলপেটের মেদ কমে যাবে।
মেদ কমানোর জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার যে কতটা কার্যকরী সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং বিকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে তিন দিনের মধ্যেই আপনার ওজন বা মেদ কমে যাবে।
আদা ও শরীরের ওজন কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। গ্লাস
পানির মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে, দিনের মধ্যে কয়েকবার খাওয়ার চেষ্টা করুন
এতে আপনার শরীরের এবং ওজন কমে যাবে।
সকাল বেলা খালি পেটে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে দুই এক চামচ মধু মিশিয়ে
পান করুন। তিন দিনের ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুব ভালো উপকার পাবেন।
লেবু পানিতে মেট ঝরানোর ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর একটি পদ্ধতি এটা আমরা ছোট বড় সবাই জানি। সকালবেলা খালি পেটে হালকা কুসুম গরম এক গ্লাস পানির ভেতরে তিন-চার চামচ লেবুর রস এবং দুই-এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন তিন দিনের মধ্যে আপনার ওজন কমে গেছে।
ওজন কমানোর খাবার তালিকা
ওজন কমানোর জন্য ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্য তালিকার দিকে নজর দেওয়া খুবই
প্রয়োজন। ওজন কমানোর খাবার তালিকা না মেনে আমরা যদি শুধু ব্যায়াম করি তাহলে ওজন
কমানোর ক্ষেত্রে খুব একটা সুফল পাওয়া যাবে না এই কারণে আমাদের উচিত ওজন কমানোর
খাবার তালিকা মেইনটেইন করা।
ওজন কমানোর জন্য সকালের নাস্তায় যা যা রাখতে হবেঃসালাদ জাতীয় খাবার অথবা
কিছু সিদ্ধ সবজি , ডিম , দুধ এরপর নাস্তার এক-দেড় ঘণ্টা পর ডাবের পানি
অথবা গ্রিন টি।
দুপুরের খাবারঃ সবুজ শাকসবজি , মাছ অথবা মাংস , ভেজিটেবল সালাদ , ডাল জাতীয়
খাবার , রুটি।
রাতের খাবারঃ ব্রাউন রাইস এক কাপ , মুরগির মাংস ছোট এক পিস , ডাল ।
এগুলোর সাথে অবশ্যই সকাল বিকাল ব্যায়াম, লেবু পানি , প্রতিদিন অন্তত ৩০
মিনিট হাঁটাহাঁটি করা খুবই জরুরী। তার সাথে সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে
এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ওজন কমানোর জন্য আমাদের সাউন্ড স্লিপ খুবই
জরুরি।
মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
মেয়েদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা ডায়েট চার্ট না জেনেই ডায়েটিং শুরু করে দেয়।
কিন্তু এতে করে শরীরে উপকারের চাইতে অপকার হয় বেশি। সেজন্য অবশ্যই মেয়েদের ওজন
কমানোর ডায়েট চাট সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা দরকার। এবার তাহলে জেনে নিন মেয়েদের
ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট কেমন হবে সে সম্পর্কে। মেয়েদের খাদ্য তালিকার
খাবারের পরিমাণগুলো হল,
লাল চাল ও লাল আটা -৪৫০ গ্রাম
ডাল -৬০গ্রাম
মাছ অথবা মাংস -১০০ গ্রাম
ডিম -দিনে ২ টি
সবজি -১০০ গ্রাম
আলু -৫০ গ্রাম
তেল -৪০ গ্রাম
বিভিন্ন ফল -১৫০ গ্রাম সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম খাওয়া যেতে পারে
চিনি অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবার -৩০
তিন দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
তিন দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় আপনি জানতে চান তাহলে এই পোস্টের এই অংশটি
আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে, কারণ এই অংশটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন
কিভাবে আপনি তিন দিনে দশ কেজি ওজন কমাতে পারবেন। তিন দিনে 10 কেজি ওজন কমানোর
জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রথমে
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে
চিনিযুক্ত খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না
খাদ্য তালিকা থেকে আলো বাদ দিতে হবে
ফাইবারযুক্ত খাবার যুক্ত করতে হবে
সকাল বিকাল দুই বেলা ব্যায়াম করতে হবে
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার সকাল বিকাল পান করতে হবে
তৈলাক তো খাবার বাদ দিতে হবে
কমপক্ষে ৭থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে
বিভিন্ন ব্যায়াম করতে হবে যেমন ভার তোলা , পুশ আপ , সাইকেলিং ইত্যাদি
প্রাকৃতিক উপায় ওজন কমানোর উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যায়াম ওজন কমাতে হলে বেশি পরিমাণে হাঁটাহাঁটি করুন। ওজন
কমানোর বিভিন্ন পানীয় গুলো যেমন লেবু পানি , জিরা পানি, আদা পানি , মধুপানি
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার , সকাল বেলা খালি পেটে পান করুন , কার্বোহাইড্রেট খাদ্য
তালিকা থেকে বাদ দিন এবং ফাইবার যুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন , প্রচুর
ফল এবং শাকসবজি খান। তার সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
দ্রুত ওজন কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অতুলনীয় । প্রতিদিন
সকালবেলা খালি পেটে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পান করতে হবে এবং তার আধঘন্টা পরে
নাস্তা করতে হবে নাস্তা করার পরে গ্রিন টি পান করুন। দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
গুলোর মধ্যে আরেকটি কার্যকরী উপায় হল তেতুল খাওয়া। এই তেতুল আপনি পানিতে ভিজিয়ে
রস বের করেও খেতে পারেন অথবা এমনিও খেতে পারেন। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য তেতুল খুব
ভালো কাজ করে নিয়ন্ত্রণে রাখে। দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই এর সাথে সাথে
আপনাকে অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং তৈলাক্ত খাবার বর্জন করতে হবে ও প্রচুর পরিমাণে
পানি পান।
পেটের মেদ কমানোর উপায়
পেটের মেদ বেশি হয়ে গেলে আমরা সবাই এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়ি।
এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য জেনে নিন পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো।
নিচের এই নিয়ম কানুন গুলো অনুসরণ করলে অথবা পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো মেনে
চলিয়ে আপনি খুব সহজেই পেটের মেয়ে কমিয়ে ফেলতে পারবেন। তাহলে জেনে নিন
পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলি।
তেতোর কারনে করেলার রস খেতে একটু অসুবিধা হলেও করেলার রস যদি আপনি নিয়মিত সকাল
বেলা খেতে পারেন তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার পেটের চর্বি পুরোপুরি গায়েব
হয়ে যাবে।
পেটে মেধর অন্যতম কারণ হলো ভাজাপোড়া খাওয়া।ভাজাপোড়া আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে তার সাথে পেটের মেল বাড়াতে সাহায্য করে। এই কারণে পেটের চর্বি কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
আরোও পড়ুনঃ ব্যায়াম করার সঠিক সময়
আশঁ বা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা যায় তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে পেটের মেন দূর করা সম্ভব হবে হবে । ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে শরীরে হজমে সমস্যা দূর হয় এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত সকালবেলা মধুর সাথে মিশিয়ে হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস খেতে হবে,
এতে আপনার পেটের মেদ সম্পূর্ণ ঝরে যাবে।
পেটের মেদ ঝরানোর জন্য আপনি যদি কোন জাদুকরী পানীয় খেতে চান তাহলে সেটি হল
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে হালকা কুসুম গরম পানিতে অ্যাপেল
সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেতে হবে। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পেটের মেদ
কমাতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
অনেক সময় আমরা সময় মতন খাবার খেতে পারি না বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে। কিন্তু আমাদেরকে এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করতে হবে। অল্প হলেও ঠিক সময় মতন খাবার গ্রহণ করতে হবে ,ঠিক সময় মতন খাবার গ্রহণ না করার ফলেও আমাদের পেটে চর্বি জমে।
পেটে চর্বি কমানোর জন্য আমাদেরকে শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম হিসেবে আমরা ঘরোয়া বিভিন্ন কাজগুলো করতে পারি অথবা প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটার বা দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি এতে করে পেটের চর্বি দ্রুত কমে যাবে।
পানি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখে এই জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিপানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পানি পান করলে আমাদের শরীরের ডাইজেস্টিক সিস্টেম ভালো থাকবে এবং এটি আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
পরিশেষে, আশা করছি ওজন কমানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
ওজন কমানো সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপসগুলো কাজে লাগান এবং আপনার শরীরের অতিরিক্ত নেট
জুড়িয়ে ফেলুন। শরীরের ওজন অতিরিক্ত হয়ে গেলে বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
এই কারণে আপনার অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফিট থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url