পেটের মেদ কমানোর উপায়
পেটের মেদ নিয়ে আমরা প্রায় খুবই বিব্রতকর এবং বিরম্বনার মধ্যে পড়ে থাকি। এই এই বিব্রতকর পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য। আপনাদের সামনে নিয়ে হাজির হয়েছি পেটের মেদ কমানোর উপায়। পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি মেদ কমিয়ে সুন্দর এবং স্মার্ট হয়ে উঠতে পারেন।
সূচিপত্র ঃ পেটের মেদ কমানোর উপায়
- ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
- ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
- ২ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
- ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়
- পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
- তলপেটের চর্বি কমানোর উপায়
- উপরের পেটের মেদ কমানোর উপায়
- মেয়েদের তলপেটের মেদ কমানোর উপায়
- পুরো শরীরের মেদ কমানোর উপায়
- পেটের চর্বি কমানোর ৯ সহজ উপায়
- ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা
৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
বর্তমানে আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষেরই পেটে মেদ হওয়ার সমস্যাটি ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। এর কারণ হলো শারীরিক পরিশ্রম অথবা নিয়মিত শরীর চর্চা না করা। এই মেদ ঝরানোর জন্য মাঝে মাঝে আমাদেরকে জিমে যেতে হয় যার ফলে আমাদের মূল্যবান সময় এবং অর্থ দুটোই ব্যয় হয়। আজকে সেজন্য আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে, ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে। ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় এর কয়েকটি পানীয় আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব, আসুন তাহলে জেনে নিন কিভাবে এই পানীয়টি তৈরি করতে হবে,
গ্রিন টিঃ গ্রিন টি শরীরের মেদ কমানোর জন্য বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। তিন দিন তিন বেলা খাবারের পরে চিনি ছাড়া এক কাপ করে গ্রীন টি পান করুন। এতে তিন দিনের মধ্যে আপনার পেটের মেদ অনেকটাই কমে যাবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ তলপেটের মেদ কমানোর জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার যে কতটা কার্যকর সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং বিকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে তিন দিনের মধ্যেই আপনার পেটের মেদ কমে যাবে।
আদা পানিঃ আদা ও শরীরের মেদ কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি
উপাদান। গ্লাস পানির মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে, দিনের মধ্যে কয়েকবার খাওয়ার
চেষ্টা করুন এতে আপনার শরীরের এবং তলপেটের মেদ কমে যাবে।
মধু জল ঃ সকাল বেলা খালি পেটে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে
দুই এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। তিন দিনের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে খুব ভালো উপকার
পাবেন।
লেবু পানিঃ লেবু পানিতে মেট ঝরানোর ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর একটি
পদ্ধতি এটা আমরা ছোট বড় সবাই জানি। সকালবেলা খালি পেটে হালকা কুসুম গরম এক গ্লাস
পানির ভেতরে তিন-চার চামচ লেবুর রস এবং দুই-এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন
তিন দিনের মধ্যে আপনার তলপেটের মেদ কমে গেছে।
৭ দিনে মেদ কমানোর উপায়
আজকে আপনাদেরকে জানানো হবে কিভাবে সাত দিনের মেদ কমানো যায়।৭ দিনে মেদ কমানোর
উপায় গুলো জানলে আপনি খুব সহজেই আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
তাহলে জেনে নিন ৭ দিনের মেদ কমানোর উপায়।
মাছের তেলঃমাছের তেল শরীর কমাতে খুব ভালো কাজ করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত
সাত দিন মাছের তেল খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার শরীরের মেদ কমানোর জন্য বিশেষ
ভূমিকা পালন করবে।
আদাঃ আদা নামের এই মসলাটি আমাদের ঘরে সব সময় থাকে। আপনি চাইলে এই আদার মাধ্যমেও সাত দিনে আপনার মেদ কমিয়ে ফেলতে পারেন। দিনের মধ্যে কয়েকবার করে আদা পানি অথবা আদা চা পান করুন। খুব দ্রুত দেখবেন আপনার শরীরের মেদ কমে গেছে।
আপেল সিডার ভিনেগারঃ শরীরের মেদ কমানোর জন্য আপেল সিডার ভিনেগার এর
প্রতিদ্বন্দ্বী হয়তোবা আর একটিও নেই। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে
দুই চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে সাত দিন নিয়মিত খান তাহলে আপনার শরীরের মেদ
কমে যাবে এবং আপনি ফিট থাকবেন।
শসাঃ সাত দিনের মধ্যে শরীরের মেদ কমাতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে
শসা খেতে হবে।কারন শশা শরীরের মেদ কমাতে খুব ভালো কাজ করে।
২ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
২ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়' কথাটি শুনতে খুব অবাক লাগলেও, এটি ঠিকই যে ২ দিনের মধ্যেও আপনি পেটের মেদ কমিয়ে ফেলতে পারেন।তাহলে আলোচনা শুরু করা যাক দুই দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় নিয়ে, দুই দিনের পেটের মেদ কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটু হার্ডওয়ার্কিং করতে হবে মেদ কমানোর জন্য। এজন্য আপনাকে শারীরিক ব্যায়াম, হাটাহাটি এবং দৌড়াদৌড়ি করতে হবে। এর সাথে সাথে কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে যেমন,
- করেলার জুস
- শসার জুস
- গ্রিন টি
- অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
- আদা পানি
- লেবু পানি
- মধু জল
- ফাস্টফুড এবং ভাজাপোড়া একেবারে বাদ দিতে হবে
- কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে
- ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমের ব্যবস্থা করতে হবে
- গোলমরিচ, দারুচিনি জাতীয় খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে।
ব্যয়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়
অনেক সময় আমরা সময় স্বল্পতার কারণে অথবা আলোচনার কারণে ঠিক মতন বা নিয়মিত ব্যায়াম করে উঠতে পারি না। এই কারণে আমরা ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায় খুঁজে থাকি। যারা ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায় খুঁজছেন আজকের এই পোস্ট তাদের জন্য। চলুন তাহলে জেনে নিন ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো। ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার যুক্ত করতে হবে এবং কিছু খাবার বাদ দিতে হবে।
খাদ্য তালিকায় যে যে খাবার যুক্ত করতে হবে ঃ
- প্রচুর ফল ও সবজি খেতে হবে
- যেসব মসলা মেদ কমায় যেমন দারুচিনি , আদা, গোলমরিচ এই জাতীয় মসলাগুলো বেশি খেতে হবে
- প্রতিদিন খালি পেটে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খেতে হবে
- সকালে লেবু পানি , আদা পানি অথবা মধু পানি খেতে হবে
- লাল চালের ভাত খেতে হবে।
- সকাল এবং বিকালে খালি পেটে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেতে হবে
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে
যে যে খাবার বর্জন করতে হবেঃ
- অতিরিক্ত তেল ও মসলাদার খাবার বাদ দিতে হবে
- সাদা চালের ভাত খাওয়া যাবেনা
- সাদা আটার রুটি খাওয়া যাবে না
- বাইরের ফাস্টফুড এবং ভাজাপোড়া খাওয়া যাবে না
- চিনি অথবা চিনি যুক্ত খাবার সম্পূর্ণ এভয়েড করতে হবে
পেটের মেদ কমানোরর ডায়েট চার্ট
পেটের মেদ কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই পেটের মেদ কমানোর ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে।
এ কারণে পেটের মেদ কমানোর ডায়েট চার্ট নিচে দেওয়া হল।
পেটের মেদ কমানোর খাদ্য তালিকায় সকালের নাস্তায় যা রাখতে হবে,
- এক গ্লাস ফলের জুস
- একটা ডিম সিদ্ধ
- একটি কলা
- সালাদ
দুপুরের খাবারেঃ পেটের মেদ কমানোর খাদ্য তালিকায় দুপুরের খাবার হিসেবে রাখতে
হবে
- বিশ গ্রামের ১টি সিদ্ধ মাছ
- ১১০ গ্রাম চামড়া ছাড়া মুরগির মাংস
- দুইটা ডিমের সাদা অংশ
- এক কাপ লাল চালের ভাত
- খাবার পরে এক কাপ গ্রিন টি
রাতের খাবারের ঃ রাতের খাবারের তালিকায় রাখতে হবে
- একটি রুটি
- ৬০ গ্রাম ঘরে বানানো চিজ
- এক গ্লাস দুধ (লো ফ্যাট)
- খুব অল্প তেলে রান্না করা অথবা সিদ্ধ করা সবজি
- সালাদ
- খাবার পরে এক কাপ গ্রিন টি
তলপেটের চর্বি কমানোর উপায়
তলপেটের চর্বি বেড়ে গেলে দেখতে যেমন খারাপ লাগে অন্যদিকে শারীরিকভাবেও নানান
জটিলতার মধ্যে পড়তে হয় । এই কারণে আপনার যদি তলপেটে চর্বি জমে থাকে তাহলে উচিত
হবে তাড়াতাড়ি তলপেটে চর্বি কমিয়ে ফেলা, এর কারণে আপনাকে জানতে হবে তলপেটের
চর্বি কমানোর উপায়। নিচে আপনাদের জন্য তলপেটে চর্বি কমানোর উপায় গুলো বর্ণনা
করা হলো।
গরুর মাংসঃ গরুর মাংসের চর্বি তলপেটের চর্বি জমার একটি প্রধান কারণ।
এই কারণে আপনাকে গরুর মাংসের চর্বি এড়িয়ে চলতে হবে গরুর মাংস থেকেও দূরে থাকতে
পারলে ভালো হয়। তবে মাংস যদি খেতে হয় তাহলে চর্বি ছাড়া গরুর মাংস
খেতে হবে ।
আলুঃ আলু আমাদের নিত্যদিনের একটি সবজি। এই সবজি ছাড়া আমাদের জন্য
চলে না। কিন্তু তলপেটে চর্বি জমার আরেকটি প্রধান কারণ হলো আলু বেশি পরিমাণে
খাওয়া। তে হলে আমাদের আলুর খাওয়ার পরিমাণ একেবারে কমিয়ে দিতে হবে।
তেলঃ তলপেটের মেদ কমাতে হলে অবশ্যই সয়াবিন তেল, পামওয়েল সহ যেকোনো
ধরনের তেল এড়িয়ে চলতে হবে।
ডিমঃ ডিম শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করলেও বেশি পরিমাণে ডিম খেলে
তলপেটে মেদ জমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ডিম
খেতে হবে।
জিরা পানিঃ তলপেটের মেদ কমাতে জিরা পানি খুব কার্যকরী একটি
পানীয়। রাতে ভিজিয়ে রাখা জিরার পানি সকালে খালি পেটে খান এতে আপনার তলপেটের মেঘ
ঝরে যাবে।
উপরের পেটের মেদ কমানোর উপায়
- প্রথমত স্বাস্থ্যকর খাবার খান
- পরিমিত ঘুমের ব্যবস্থা করুন
- ফাইবার যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন
- ফাস্টফুড তৈলাক্ত , খাবার এড়িয়ে চলুন
- চিনি একেবারে এড়িয়ে চলুন
- দুই হাতের তালু এবং দুই পায়ের পাতার উপরে ভর দিয়ে শরীর উঠানামা করানো একে 'পুশ আপ' বলা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার ওপরে পেটের মেদ কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
- দুই পা সোজা করে শুয়ে পড়ুন দুই হাত মাথার তলে রেখে হাঁটু ভাঁজ করে, ডান হাতের কনুই দিয়ে বাম পায়ের হাঁটু এবং বাম হাতের কনুই দিয়ে ডান পায়ের পাতাটি ছোঁয়ার চেষ্টা করুন, পেটের মেদ কমাতে এটি বেশ ভালো এবং কার্যকরী একটি ব্যায়াম।
- দুই পা সোজা করে শুয়ে , দুই হাত মাথার নিচে রেখে বারবার বসার চেষ্টা করুন। এই ব্যায়ামগুলোর মাধ্যমে খুব দ্রুত আপনি আপনার উপরে পেটের মেদ কমিয়ে ফেলতে পারবেন
মেয়েদের তলপেটের মেদ কমানোর উপায়
তলপেটে মেদ বাড়া নিয়ে মেয়েরা সাধারণত বেশি দুশ্চিন্তা বস্তু থাকে। মেয়েদের তলপেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো আজকে সেই জন্য আলোচনা করা হবে। তাহলে জেনে নিন মেয়েদের তলপেটে মেদ কমানোর উপায়।
- নিয়মিত হাটা ও দৌড়ানো
- মানসিক দুশ্চিন্তা
- মুক্ত নিয়মিত খাবার গ্রহণ করা
- অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া
- লেবু পানি খাওয়া
- সবজি এবং ফল জাতীয় খাবার খাওয়া
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
- সাদা আটা এবং সাদা চালের ভাত
- ফাস্টফুট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
- চিনি মুক্ত খাবার খেতে হবে
পুরো শরীরের মেদ কমানোর উপায়
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এক হালকা কুসুম গরম পানির সাথে এক চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে হবে লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীর থেকে নিম্ন ধরনের খারাপ পদার্থ বের করে দেয়। প্রোটিন যুক্ত খাবার, বিভিন্ন ধরনের ফল, শর্করাযুক্ত খাবার ও শস্য জাতীয় খাবার খাওয়া। প্রতিদিন সকালে জিরার পানি বা আদার পানি পান করা। প্রতিদিন সকালে টানার ১০ থেকে ১২ দিন গরম পানিতে জিরা অথবা এক দুই টুকরা আদা কেটে সেই পানি পান করুন তাড়াতাড়ি মেদ কেটে যাবে।
এছাড়াও করেলার রস এবং অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের মাধ্যমে আপনি খুব তাড়াতাড়ি পুরো শরীরের মেদ জড়িয়ে ফেলতে পারবেন। এগুলোর সাথে সাথে অবশ্যই আপনাকে অস্বাস্থ্যকর খাবার, ফাস্টফুড, তৈলাক্ত খাবার , কোলড্রিংস ইত্যাদি খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এবং নিয়মিত শরীরচর্চা , হাটাহাটি , দৌড়াদৌড়ি করতে হবে । রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে চার ঘণ্টা আগে খাবার খেতে হবে। খাবার খাওয়ার পরপরই যদি আমরা ঘুমিয়ে পড়ি তাহলে সেই খাবার আমাদের শরীরে ফ্যাট জমতে সাহায্য করে
পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায়
পোষ্টের এই অংশটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন পেটে চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায়
সম্পর্কে। আমাদের মধ্যে অনেকেই পেটের চর্বি নিয়ে বিরম্বনায় পড়ে থাকেন। তাদের
জন্য আজকে পেটের চর্বি কমানোর নয়টি সহজ উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি। দেরি না করে
জেনে নেই পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজে উপায়।
পেঁপেঃ পেঁপে শরীরে মেদ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর। নিয়মিত প্রতিদিন
কয়েক টুকরা কাঁচা পেঁপে খেলে দ্রুত আপনি আপনার কেটে চর্বি কমাতে
পারবেন।
করেলার রসঃ তেতো হলেও করেলার রস যদি আপনি নিয়মিত সকাল বেলা খেতে পারেন তাহলে
খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার পেটের চর্বি পুরোপুরি গায়েব হয়ে যাবে।
ভাজাপোড়া নাঃ খাওয়া ভাজাপোড়া আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি
করে তার সাথে পেটের চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে। এই কারণে পেটের চর্বি কমাতে হলে
আপনাকে অবশ্যই ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারঃ আশঁ বা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায়
যুক্ত করতে হবে । ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে শরীরে হজমে সমস্যা দূর হয়
এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
লেবুর রসঃ নিয়মিত সকালবেলা মধুর সাথে মিশিয়ে হালকা কুসুম গরম
পানিতে লেবুর রস খেতে হবে, এতে আপনার পেটের মেদ সম্পূর্ণ ঝরে যাবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে হালকা কুসুম গরম
পানিতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেতে হবে। অ্যাপেল
সিডার ভিনেগার পেটের মেদ কমাতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
আরোও পড়ুনঃ ব্রণ দুর করার উপায় জেনেনিন
সময় মতন খাবার খেতে হবেঃ অনেক সময় আমরা সময় মতন খাবার খেতে পারি না
বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে। কিন্তু আমাদেরকে এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করতে হবে। অল্প
হলেও ঠিক সময় মতন খাবার গ্রহণ করতে হবে ,ঠিক সময় মতন খাবার গ্রহণ না করার
ফলেও আমাদের পেটে চর্বি জমে।
শারীরিক পরিশ্রম করাঃপেটের চর্বি কমানোর জন্য আমাদেরকে শারীরিক পরিশ্রম
করতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম হিসেবে আমরা ঘরোয়া বিভিন্ন কাজগুলো করতে পারি অথবা
প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটার বা দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি এতে
করে পেটের চর্বি দ্রুত কমে যাবে।
পানিঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিপানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পানি পান
করলে আমাদের শরীরের ডাইজেস্টিক সিস্টেম ভালো থাকবে এবং এটি আমাদের ওজন কমাতে
সাহায্য করবে।
ওজন কমানোর খাবার তালিকা
ওজন কমানোর জন্য,ওজন কমানোর খাবার তালিকা এর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।
আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এই জন্য, ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা নিয়ে হাজির
হয়েছি। নিচে নারী ও পুরুষের আলাদা আলাদা করে ওজন কমানোর এর খাবার তালিকা
দেয়া হলো।
পুরুষের ওজন কমানোর খাদ্য তালিকাঃ
- মোটা লাল চালের ভাত- ৪ ছটাক বা ২৫০ গ্রাম
- আটা- ৪ছটাক বা ২৫০ গ্রাম
- ডাল অথবা ডাল জাতীয় খাবার -১ .৫ ছটাক বা ৯০ গ্রাম
- ছোট মাছ - ১ ছটাক বা ৬০ গ্রাম
- মিষ্টি আলু -২ ছটাক বা ৯২৫ গ্রাম
- বিভিন্ন ধরনের শাক -১.৫ ছটাক বা ৯০ গ্রাম
- সবজি জাতীয় খাবার - ১.৫ ছটাক বা ৯০ গ্রাম
- যেকোনো ফল- ২/৩ টি
- তেল - ১ ছটাক বা ৬০ গ্রাম
- চিনি অথবা গুড়- ০.৫ বা ৩০ গ্রাম
মহিলাদের ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা
- চাল অথবা আটা- ৬ ছটাক বা ৩৭৫ গ্রাম
- ডাল বা ডাল জাতীয় খাবার - ০.৭৫ ছটাক বা ৪৫ গ্রাম
- শাক- ১৫৫ গ্রাম
- সবজি -৯০ গ্রাম
- মিষ্টি আলু অথবা এমনি আলু -৬০ গ্রাম
- মাছ /মাংস- ৬০ গ্রাম
- তেল- ৪০ গ্রাম
- যে কোন প্রকার ফল - ১ টি
আশা করছি, পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো জানতে পেরে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো ফলো করে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে সুস্থ-সবল জীবন যাপন করতে পারবেন বলে কামনা করছি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url