চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না - চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে
চোখ আমাদের শরীরের খুবই সেন্সেটিভ একটি অংগ ,তাই চোখে ইনফেকশ্ন হলে বা চোখ উঠলে কিছুদিন ভোগান্তির শেষ থাকে না । চোখ উঠলে যাতে করে আপনাদের বেশি কষ্ট পেতে না হয় তাই আজ এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো চোখে ভাইরাস হলে করনীয় ,চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না এবং চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে।
চোখ উঠা কোন প্রানঘাতী রোগ না হলেও এই রোগটি যন্ত্রণাদায়ক এবং কষ্টদায়ক।অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্ট ভোগ করে থাকেন তাই আজ আপনাদের জানাবো চোখে ভাইরাস হলে কারণীয় চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না এবং চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে কিনা এই বিষয় গুলো। চোখ উঠা সম্পর্কে এই সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো জানার জন্য অবশ্যয় এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে। তাহলে চলুন আর দেরী না করে চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না এবং চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে এই বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক।
সূচিপত্রঃ চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না - চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে
- চোখে ভাইরাস হলে করনীয়
- চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না
- চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে
- চোখ উঠলে কতদিন থাকে
- চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে
- চোখ উঠলে কি চোখে পানি দেওয়া যাবে
- চোখ উঠলে ঔষধ
চোখে ভাইরাস হলে করনীয়
চোখের ভাইরাস বা চোখ উঠা রোগের সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। এই রোগটি একটি ছোঁয়াচে রোগ এবং এই রোগে আক্রান্ত রোগীর আশেপাশে থাকা এবং রোগীর ব্যবহৃত চশমা ,বালিস, রুমাল বা প্রসাধনী ব্যবহারের মাধ্যমে যেকেওই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।এই চোখ উঠা রোগ হলে বেশ কিছুদিন ভোগান্তির শেষ থাকে না।এই ভোগান্তি থেকে মুক্তির জন্য চোখে ভাইরাস হলে করনীয় বিষয় সম্পকে কি আপনি জানেন।যদি না জেনে থাকেন চোখে ভাইরাস হলে করনীয় বিষয় সম্পর্কে তাহলে চলুন এ বিষয়টি জেনে নেয়া যাক
চোখে ভাইরাস হলে চোখ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।চোখে কোন ভাবেই যেন অপরিষ্কার পানি , ধুলাবালি প্রবেশ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেকের ধারণা চোখে ভাইরাস হলে বা চোখ উঠলে বারবার পানি দিয়ে ঝাপটা দিলে তা চোখের জন্য উপকার কিন্তু এই ধারণা দিয়ে একেবারেই ঠিক নয়।
চোখে ভাইরাস হলে বারবার রোখে হাত দেয়া বা চোখ চুলকানো থেকে বিরত থাকুন কারন ,আমাদের হাতে অনেক জীবানু থাকে যার ফলে বার বার চোখে হাত দিলে সেখান থেকে জিবানুর সংক্রামন ঘটতে পারে। চোখে হাত দেয়ার আগে অবশ্যয় সাবান দিয়ে ভালোভাবে জীবানু মুক্ত করে নিতে হবে।
চোখের ভাইরাস যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ তাই অবশ্য চোখ পরিষ্কার করে টিস্যু পেপের যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।এবং রোগীর ব্যবহৃত জিনিস অন্যকে বা অন্যের জিনিস রোগীর ব্যবহার করা যাবে না।
আরো পড়ুনঃ পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা
চোখ উঠলে বা চোখে ভাইরাস দেখা দিতো অবশ্যই ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত কারণ সানগ্লাস ব্যবহার করতে সূর্যের আলোতে চোখের জ্বালা পোড়া কিছুটা কম হয় এবং সানগ্লাস ব্যবহার করলে বাইরের ধুলোবালি ও দূষিত বাতাস চোখে খুব একটা প্রবেশ করতে পারে না।
চোখে ভাইরাস দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারি পরামর্শ মত চোখের এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার শুরু করা উচিত কেননা অনেক সময় ভাইরাসের সাথে সাথে ব্যাকটেরিয়াও একসাথে অ্যাটাক করে। এছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার না করলে এই ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই চোখে ভাইরাল দেখা দিলে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করা উচিত।
চোখ উঠলে সাবধান ও সতর্ক থাকার পাশাপাশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার এবং পুষ্টিক্র খাবারগুলো বেশি বেশি খেতে হবে।পুষ্টীকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম ও রেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না
চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না তা কি আপনাদের জানা আছে? হয়ত অধিকাংশ মানুষেরই জানা নেই চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না ।তাই আপনাদের আজ জানাবো চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না সেই খাবার গুলর নাম।তাই যারা জানেন না চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না তারা আর দেরি না করে বিষয়টি জেনে নিন।
চোখ উঠলে এলার্জি জাতীয় খাবার যেমন- ইলিশ মাছ, চিংড়িমাছ , বেগুন, পুইশাক, মিষ্টি কদু,সীম , মসুরের ডাল ইত্যাদি খাবার গুলো খাওয়া যাবে না।কারণ এ জাতীয় খাবার গুলো চোখে চুলকানীর সমস্যা বাড়িয়ে দিবে তাই এ ধরণের খাবারগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। আশা করি বুঝেছেন চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না।
চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে
এতক্ষন আমরা জানলাম চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না তাই এবার আমরা জেনে নেব চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে সেই খাবার গুলোর নাম। আপনারা কি জানেন চোখ উঠলে চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে। আসলে চোখ উঠলে এলার্জি যুক্ত খাবার গুলো ছাড়া সব খাবারই খাওযা যাবে।তবে চোখ উঠলে বিট লবন, ঘি ,কিসমিস ,মধু , আমলকী , এ খাবার গুলো বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে এ রোগ থেকে সেরে ওঠার ক্ষেত্রে,তাই চোখ উঠলে খাবার তালিকায় এ জাতীয় খাবার গুলো রাখার চেষ্টা করুন।
চোখ উঠলে কতদিন থাকে
চোখ উঠলে বেশ কয়েকদিন বেশ অসুবিধা পোহাতে হয় কারণ আপনারা সবাই জানেন চোখ একটি অতি সেনসেটিভ একটি স্থান।চোখ উঠলে চোখে প্রদাহ সৃষ্টি হয় ,চোখ ফুলে যায়, চুলকায়, জ্বালাপোড়া হয় ,চোখ দিয়ে পানি পড়ে আর এ করনে চোখ উঠলে কয়েকদিন ভোগান্তির শেষ থাকে না। কিন্তু প্রশ্ন হল চোখ উঠলে কতদিন থাকে বা কতদিন এ ভোগান্তি পোহাতে হয় ? আপনি কি জানেন চোখ উঠলে কতদিন থাকে ,যদি না জানেন তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক।চোখ উঠলে সাধারণত ৩-৪ দিন থাকে তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ৭ দিন বা এর কিছু বেশি সময়ও থাকতে পারে।
চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে
অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে কিনা? তাই তাদের উদ্দেশ্য আজকে আপনাদের জানাবো চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে রোগ কিনা এই বিষয়ে। যারা জানতে চান চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে তারা বিষয়টি জেনে নিন। হ্যাঁ চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ, এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যবহৃত তোয়ালে , রুমাল , চশমা ইত্যাদি জিনিসপত্র ব্যবহারের মাধ্যমে একজন সুস্থ মানুষ খুব সহজে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
আরোও পড়ুনঃ মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়।
এমনকি চোখ ওঠা রোগীর ঘাঁটি কাশির মাধ্যমে এই রোগটি আশেপাশে থাকা মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। তবে আমাদের দেশে একটি ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে যে চোখ ওঠা ব্যক্তর চোখের দিকে তাকালে সুস্থ মানুষ ও আক্রান্ত হয় এই ধারণাটি একেবারেই ভুল এবং ভ্রান্ত কেননা চোখ ওঠা রোগের ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়তে পারলেও আলোর মাধ্যমে ছড়াতে পারে না। আশা করছি চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।
চোখ উঠলে কি চোখে পানি দেওয়া যাবে
অনেকেই আছে যারা মনে করেন চোখ উথলে বার বার চোখে পানির ঝাপটা দিতে হবে ,তাদের এ ধারনা সঠিক কিনা তা আজ আপনাদের জানাবো। আপনি কি জানেন চোখ উঠলে কি চোখে পানি দেওয়া যাবে কিনা ?চোখ উঠলে কি চোখে পানি দেওয়া যাবে কিনা তা যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এ বিষয়টি এখুনি জেনে নিন।চোখ উঠলে বার বার চোখে পানি দেওয়া যাবে না এতে আপনার চোখের ক্ষতি হতে পারে ।চোখ উঠলে বার বার চোখে পানির ঝাপটা না দিয়ে পরিস্কার রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে।
চোখ উঠলে ঔষধ
আপনাআ জানেন চোখ উঠলে বেশ কিছুদিন ভোগান্তি পোহাতে হয় এই ভোগান্তি লাঘবের জন্য এবং ইনফেকশ যাতে না হয়ে যায় তাই আজ আপনাদের জানবো চোখ উঠলে ঔষধ কোন গুলো খেতে হবে।আপনারা যদি জানতে চান চোখ উঠলে ঔষধ কোন গুলো খেতে হবে তাহলে জেনে নিতে পারেন। তবে অবশ্যয় এই ঔষধ গুলো ব্যবহারের আগে ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহন করে নেবেন।
- Cipro A.cholorofen eyedrop.
- cloram eye drop.
- tb. Bexidal.
- tb. Mebolin
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url