মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে পেটে বাচ্চা আসে
অনেক দম্পতি রয়েছে যারা এই মুহূর্তে বাচ্চা নেয়ার কথা ভাবছেন আবার
এমন অনেক দম্পতি রয়েছে যারা এই মুহূর্তে বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন না। এই ধরনের সকল
দম্পতিদের কথা মাথায় রেখে আজকে আমার এই পোস্টটি। মাসিক কত দিন পর সহবাস করলে
পেটে বাচ্চা আসে এবং মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে পেটে বাচ্চা আসে না সেই
বিষয়গুলো জানতে হলে ও সহবাস সম্পর্কিত আরো ভিন্ন তথ্য জানার জন্য এই পোস্টটি শেষ
পর্যন্ত। এই পোষ্টে মাধ্যমে শেয়ার করা তথ্যগুলো আপনার উপকারে লাগতে পারে বলে আশা
করছি।
সূচিপত্র কতদিন পর সহবাস করলে পেটে বাচ্চা আসে
- মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে পেটে বাচ্চা আসে
- মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে পেটে বাচ্চা আসেনা
- সহবাসের পর কতক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়
- সহবাসের পূর্বে করণীয়
- সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি বোঝা যায়
- স্ত্রী সহবাসের সঠিক সময়
- সহবাসের পূর্বে যে সকল খাবার খাওয়া দরকার
মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে পেটে বাচ্চা আসে
অনেকের মনে এই প্রশ্নটি আসে যে, মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে পেটে বাচ্চা আসে? আজকে আপনাদের জানাবো এই প্রশ্নের উত্তর। সাধারণত যেসব নারী নিয়মিত ২৮ দিন পরপর রক্তস্রা বা মাসিক হয়ে থাকে , তাদের ক্ষেত্রে মাসিক শুরুর ৭ম দিন থেকে শুরু করে মানে প্রথম সপ্তাহ থেকে ২১ তম দিন এই সময়ের মধ্যে সহবাস করলে গর্ভ ধারণ বা পেটে বাচ্চা আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে ।
স্ত্রী জননতন্ত্রে বীর্য প্রবেশের পর শুক্রাণু মোটামুটি তিন থেকে পাঁচ দিন জীবিত
থাকতে পারে। এই সময় গুলোতে ১/২ দিন পর পর সহবাস করলে খুব তাড়াতাড়ি গর্ভধারণের
ক্ষেত্রে ফলাফল পাবেন। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতার কারণে গর্ভধারণের
জন্য প্রায় এক বছর সময় লেগে যেতে পারে । সময় লাগলে ঘাবড়ে যাবেন না অন্ততপক্ষে
এক বছর ওয়েট করার পরেও যদি গর্ভধারণ না হয় তাহলে ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ
করুন।
মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে পেটে বাচ্চা আসেনা
এমন অনেক দম্পতি রয়েছে যারা বাচ্চা নিতে চাই না। কিন্তু মাসিকের কতদিন
পর সহবাস করলে পেটে বাচ্চা আসে এবং আসে না সে সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার
কারণে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এসব দম্পতি কে বাচ্চা নিয়ে ফেলতে হয় এবং বিভিন্ন ধরনের
পারিবারিক সমস্যার সম্মুখীন। তাহলে আজকে জেনে নেওয়া যাক মাসিকের কত দিন পর সহবাস
করলে পেটে বাচ্চা আসে না এই সম্পর্কে। মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে ৭ম দিন
পর্যন্ত এবং শেষের ২১তম দিনের পরে থেকে পরবর্তী মাসের শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই
সময়টাতে সহবাস করলে পেটে বাচ্চা আসার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে বা থাকে না বললেই
চলে।
সহবাসের পর কতক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়
যারা ইতোমধ্যে বাচ্চা নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বা বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য জানা প্রয়োজন যে সহবাস করার পর সাথে সাথে কৃষ্ণা থেকে উঠে না পড়ে কিছুক্ষণ অন্তত পক্ষে ৩০ মিনিট চুপচাপ বিছানায় নড়াচড়া না করে শুয়ে থাকুন। যদিও একবার যোনিতে বীর্য প্রবেশ করা মানে, যোনিতে কয়েক লক্ষ শুক্রাণু প্রবেশ করা এই কারণে সহবাসের পরে দাঁড়িয়ে গেলে বা নড়াচড়া করলে যে সব শুক্রাণু নষ্ট হয়ে যাবে বা সরে যাবে এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই।
আরো পড়ুনঃশরীরের মেদ কমানোর উপায়
তারপরে সহবাসের পরে অন্তত ৩০ মিনিট চুপচাপ শুয়ে থাকা তাড়াতাড়ি গর্ভধারণের
ক্ষেত্রে সাহায্য করে। জরায়ুর দিকে সহজে যাতে বীর্য প্রবাহিত হতে পারে এ কারণে
কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার উপদেশ দেওয়া হয় । বৃদ্ধের মধ্যে থাকা শুক্রাণু যাতে
সহজে সারভিক্স হয়ে ফলোপেন টিউবের ভেতর ঢুকে এ কারণে কিছুক্ষন নড়াচড়া ব্যতীত
শুয়ে থাকা ভালো,, কথা হচ্ছে যে সহবাসের পর গর্ভধারণের জন্য বীর্য যত বেশি সময়
জরায়ুর ভেতরে রাখা যায় ততই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
সহবাসের পূর্বে করণীয়
সহবাসের পূর্বে সঙ্গিনিকে যথেষ্ট সময় দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। বেশিরভাগ ছেলেদেরই সহবাসে করবে এই কাজটি করতে দেখা যায় না। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয়, সহবাসের পূর্বে আপনার সঙ্গিনীকে অবশ্যই পর্যাপ্ত টাইম দিতে হবে এবং পরিপূর্ণভাবে জন্য উত্তেজনা সৃষ্টি করতে হবে। নারীরা কখনোই তাদের জন্য উত্তেজনা কথা মুখে প্রকাশ করে না , তাদের আচরণ দেখে বুঝে নিতে হবে যে , তারা যৌন কাজের জন্য ঠিকভাবে উত্তেজিত হয়েছে কিনা । প্রাকৃতিকভাবেই নারীদের যৌন উত্তেজনা পুরুষের তুলনায় একটু দেরিতে আসে।
পরিপূর্ণ রূপে নারী যখন উত্তেজিত হয় তখনই সহবাস করার সঠিক সময় । সহবাসের পূর্বে
নারী-পুরুষ উভয়েরই কিছু করণীয় রয়েছে যেমন উভয়কেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং
পরিবারটি হতে হবে। নারীদের উচিত করে সুগন্ধি লাগিয়ে তারপর স্বামীর কাছে যাওয়া।
সহবাসের পূর্বে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই উচিত সুগন্ধি ব্যবহার করা কারণ
সুগন্ধি ব্যবহার যৌন উত্তেজনাকে বাড়িয়ে তোলে । স্বামী-স্ত্রী দুজনকে কিছুটা
ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। খাঁটি দুধ , দুধের সর , মাখন ইত্যাদি খাবার
গুলো সহবাসের পূর্বে খাওয়া ভালো এতে শরীরের সেক্স হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়।
বিশেষ করে ছাগলের দুধ পুরুষের জন্য ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন
করে।
সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি বোঝা যায়
সহবাস করার পরেও যদি প্রতি মাসে হওয়া নিয়মিত মাসের বন্ধ হয়ে যায় কিংবা আপনি
যদি দেখেন মাসিকের টাইম পার হয়ে যাচ্ছে তবুও মাসিক শুরু হচ্ছে না তাহলে,
যেদিন আপনার রেগুলার মাসিকের ডেট ছিল সেদিন থেকে গণনা শুরু করে ১৮ থেকে ২০
দিন পর টেস্ট করলে প্রেগনেন্সি বোঝা যাবে।
স্ত্রী সহবাসের সঠিক সময়
শেষ রাত্রী হলো স্ত্রী সহবাসের শেষ সময়।বিভিন্ন বই পুস্তক থাকে জানা যায় শেষ রাতে সহবাস করলে সুস্থ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।সাধারনত খাওয়া দাওয়া করার ২ ঘন্টা পরে সহবাস করা উচিত।ভরা পেটে সহবাস একেবারে উচিত না এতে স্ব্যাস্থের ক্ষতি হতে পারে।
সহবাসের পূর্বে যে সকল খাবার খাওয়া দরকার
দাম্পত্য জীবনে অনেকেরই যৌন সমস্যা রয়েছে। দাম্পত্য জীবন সুখী করতে এবং যৌন
সমস্যা দূর করতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকে। কখন সমস্যা দূর করার
জন্য ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রাকৃতিক খাবার গুলো খান। কিছু খাবার গ্রহণের
ফলে আপনি আপনার যৌন সক্ষমতাকে ফিরে পেতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যৌন
অক্ষমতা দূর করার কিছু খাবারের নাম এবং যে খাবারগুলো সহবাস করার পূর্বে খাওয়া
দরকার
- দুধঃ আপনার জন্য ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে ছাগলের দুধ পুরুষের যৌন অক্ষমতা দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
- এলাচঃ বিভিন্ন ধরনের রান্নায় এই এলাচ ব্যবহার হয়। এই মসলাটির সাথে আমরা কম বেশি সভায় পরিচিত হলে এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। এলাচ পুরুষের যৌন ক্ষমতা দূর করে এবং যৌন চাহিদা বহু গুনে বাড়িয়ে দেয়।
- ব্রকলিঃ শীতকালে এই সবজিটি আমাদের দেশে সব জায়গায় পাওয়া গেলে এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানি না। ব্রকলি যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে যা যৌন ক্ষমতা কে ধরে রাখতে সাহায্য করে। এজন্য আমাদের খাবার তালিকা ব্রকলি রাখা প্রয়োজন।
- কলাঃ যৌন উত্তেজক খাবার গুলোর মধ্যে কলা অন্যতম। কলার ভিতরে থাকা ভিটামিন এ, বি,সি এবং পটাশিয়াম যৌন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । কলা মানুষের যৌন চাহিদাকে বহু গুনে বাড়িয়ে তুলে।
- ডিমঃ যৌন স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ক্ষেত্রে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা সবাই জানি ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ প্রোটিন। এই প্রোটিন হরমোনের মাত্রাকে ঠিক রাখে এবং শরীরের জন্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- মধুঃ মধু যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী একটি অন্যতম খাবার।
- বাদামঃ বাদামের প্রচুর পরিমাণে সেচুরেটেড ফ্যাট থাকে আর এই ফ্যাট সেক্স হরমোন গুলোকে ঠিকঠাক মতন কাজ করতে সাহায্য করে।
- বিট ও গাজরঃ যৌন স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য এবং যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য বিট এবং গাজর খাওয়া যেতে পারে।
- ডার্ক চকলেটঃ প্রতিদিন এক থেকে দুই টুকরা ডার্ক চকলেট খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি পাওয়া যাবে যা আপনার যৌন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে।
এছাড়াও রসুন এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ জাতীয় খাবার যেমন সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়োর
বীজ ইত্যাদি খাবার গুলো খেলে আপনার যৌন সমস্যা দূর হবে।
পরিশেষে আশা করছি ,বুঝতে পেরেছেন মাসিকের কতদিন পরে সহবাস করলে বাচ্চা হবে এবং কতদিন পরে সহবাস করলে বাচ্চা হবে না। এছাড়াও আপনার জন্য স্বাস্থ্য বা যৌন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য উপরিউক্ত খাদ্যগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে নিয়মিতভাবে খেয়ে দেখতে পারেন, এটি আপনার যৌন সমস্যা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে বলে আশা করা যায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url