ডায়াবেটিস কেন হয় - ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়

ডায়াবেটিস নামক রোগটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। এই রোগটি আমাদের মাঝে খুবই কমন একটি রোগ। তবে এই রোগটিকে আমরা যত সহজ মনে করি রোগটি ততটা সহজ নয়। ডাইবেটিস নামক রোগটি অত্যন্ত জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি এবং এই রোগের কারণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকে। আজকে আপনাদের জানাবো ডায়াবেটিস কেন হয় এবং ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো জেনে রাখা একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই জরুরী।


এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ডায়াবেটিস কেন হয় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় এবং ডাইবেটিস এর লক্ষণসহ ডায়াবেটিস সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে ভবিষ্যতের ডাইবেটিস সম্পর্কের সচেতন হতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন হতে অবশ্যই কোন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং ডাইবেটিস সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ ডায়াবেটিস কেন হয় - ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়

ডায়াবেটিস কি

ডায়াবেটিস নামটার আপনারা সকলেই শুনেছেন বা জানেনে ,তারপরেও অনেকেই সঠিক ভাবে জানতে চান ডায়াবেটি কি তার ব্যখ্যা।তাই আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব ডায়াবেটিস কি এই বিষয়টি। নিয়ে চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে ডায়াবেটিস কি তা জেনে নেওয়া যাক। ডায়াবেটিস হলো এক ধরনের দীর্ঘমেয়াদী রোগ। এই রোগ হলে শরীরে হরমোন উৎপাদনের কার্যক্ষমতা আংশিক বা পুরোপুরি ভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ডায়াবেটিস নামক এই রোগটি বহুমূত্র রোগ নামেও পরিচিত। ১৮ এর পরবর্তী যে কোন বয়সেই এই রোগ হতে পারে তবে ৪০ উর্ধ্ব ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস নামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। 

ডায়াবেটিস নামক রোগটি আমাদের মাঝে খুবই কমন কারণ কম বেশি প্রতিটি ঘরেই একটি বা দুটি এই রোগের রুগী দেখতে পাওয়া যায়, তবে ডায়াবেটিস রোগটি যতটা কমন ঠিক ততটাই জটিল কেনন এই রোগটি যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায় তাহলে হতে পারে মহাবিপদ।শুধু তাই নয় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকলেও দীর্ঘমেয়াদি এই রোগের কারণে হতে পারে চোখ , হার্ট , কিডনি এবং নিউরোলোজিক্যাল সমস্যা। ডায়াবেটিস নামক রোগটি হলে এই ইনসুলিন হরমোন উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আরো যে সমস্যাটি হয় সেটি হল রক্তের সুবারের মাত্রা বেড়ে যায় এবং এই মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেক সময় সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়।

ডায়াবেটিস কেন হয়

আপনারা কি জানেন ডায়াবেটিস কেন হয়। অনেক মানুষ ডায়াবেটিস নামক রোগে আক্রান্ত হলেও অধিকাংশ মানুষই হয়তো জানেন না ডায়াবেটিস কেন হয়। তাই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ডায়াবেটিস কেন হয় এই বিষয়টি । আপনারা যারা ডায়াবেটিস কেন হয় জানেন না তারা অবশ্যই বিষয়টি জেনে রাখতে পারেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস কেন হয়।

আরো পড়ুন: চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না

শরীর যখন স্বাভাবিকভাবে ইনসুলিন হরমোন উৎপাদনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখনই সৃষ্টি হয় ডায়াবেটিস নামক রোগের। সুতরাং বুঝতে পারছেন ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন না হলে তখন ডায়াবেটিস নামক রোগটি হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস নামক রোগটি হলে বিরক্তে শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে যায় কেননা ইনসুলিন হরমোন নিঃসরণ না হওয়ার কারণে এই সময় শরীর শর্করা বা  গ্লুকোজ কে ভাঙতে পারেনা। শরীরের এই অবস্থা বা ডাইবেটিস নামক রোগটি হওয়ার পেছনে ইনসুলিন হরমোন নিঃসরণ না হওয়ার কারণ হিসেবে আরো যে সকল বিষয়গুলো কাজ করে সেগুলো হল-

  • অধিক সময় শুয়ে বসে থাকা অথবা হাঁটাহাঁটি বা শরীর চর্চা না করা
  • অতিরিক্ত ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করা
  • গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা অথবা অনিদ্রার সমস্যার কারনে
  • সব সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তায় থাকা
  • স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত শারীরিক ওজন
  • আঁশ যুক্ত খাবার কম খাওয়া
  • বংশগত কারণ।

ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ

বিভিন্ন সময়ে আপনারা জানতে চেয়ে থাকেন ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে , কারণ ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ জানা না থাকার কারণে অনেক সময় দেখা যায় ডায়াবেটিসের চিকিৎসা গ্রহণ করতে অনেক দেরি হয়ে যায় তাই এই বিষয়টি জেনে রাখা আপনাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। শরীরে ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেলে বা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেলে এর ফলে ডায়াবেটিস রোগের সৃষ্টি হয় আর ডায়াবেটিস নামক রোগটি হলে শরীরের যে লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় সেগুলো হল,

  • প্রায় প্রায় প্রসাবের চাপ হওয়া
  • বমি ভাব
  • চোখে অস্পষ্ট  দেখা
  • শরীর ঝিমঝিম করা
  • একটুতেই শরীর হাপিয়ে যাওয়া বা ক্লান্ত লাগা
  • শরীরের ওজন দ্রুত কমে যাওয়া
  • প্রচন্ড ক্ষুধা অনুভব হওয়া
  • পানি পিপাসা বেড়ে যাওয়া
  • চুলকানি বা এলার্জির প্রবণতা বেড়ে যাওয়া
  • কাঁটা স্থান শুকাতে অনেক দেরি লাগা
  • মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার উপরে আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া
  • হজমে অসুবিধা হওয়া

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়

এবার আপনাদের জানাবো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে কারণ বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই ডায়াবেটিস রোগী দেখতে পাওয়া যায় আর যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো জেনে রাখা না হয় তাহলে হঠাৎ করে ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে সে ক্ষেত্রে পরতে হয় শারীরিক জটিল তাই। ডায়াবেটিস যেহেতু একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং জটিল রোগ তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় জেনে রাখা দরকার। আপনাদের সুবিধায় এবং সচেতনতা ব্যক্তির উদ্দেশ্যে আজকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো সম্পর্কে জানাবেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই ঘরোয়া উপকরণের সাহায্যে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারববেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক

পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ পর্যাপ্ত পানি পানের মাধ্যমে আপনি ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে আনতে পারেন কেননা পানি বেশি পান করলে তা প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্তের অতিরিক্ত সুবার শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে এবং এইভাবেই পানি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে বারবার পানি পান করার চেষ্টা করুন।

হাটাহাটি করাঃ হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি ক্ষয় হয় এবং দ্রুত হাঁটাহাঁটি করলে ইনসুলিন হরমোনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয় দ্রুত হাঁটাহাঁটি করলে আর রক্ত চলাচলের প্রক্রিয়া সটল থাকে যার কারণে ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে দ্রুত হাঁটাহাঁটি করলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট সাহায্য করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম

অ্যালোভেরার রসঃ দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার একটি খুবই উপকারী পান পানীয় হলো অ্যালোভেরার জুস বা অ্যালোভেরার রস পান করা। অ্যালোভেরার রস শরীরে হরমোনের ব্যালেন্স ঠিক থাকে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অ্যালোভেরার রস হালকা কুসুম গরম পানির সাথে  মধু মিশিয়ে পান করুন।

ফাইবার যুক্ত খাবার গ্রহণ করাঃ রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখার জন্য ফাইবার বাস যুক্ত খাবার গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে কেননা ফাইবার যুক্ত খাবার গুলো রক্তের শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

মানসিক চাপ কমাতে হবেঃ আপনাদের আগে জানানো হয়েছে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কোন ডায়াবেটিসের অন্যতম প্রধান কারণ তাই ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে অবশ্যই মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি মানসিক চাপমুক্ত থাকেন তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

ক্যফেইন যুক্ত পানিও পান করাঃ কফি বা ক্যাথেন যুক্ত পানীয় পান করার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিতভাবে দুই কাপ কফি সারাদিনের মধ্যে পান করে তাদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হয় কেননা কফির ভেতরে রয়েছে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পলিফেলিন নামে পরিচিত।এই পলিফেলিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।

ইনসুলিন গ্রহণঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতিটি হল ইনসুলিন গ্রহণ করা। ডায়াবেটিস রোগটি বলে যে তুই শরীর প্রাকৃতিকভাবে ইনসুলিন হরমোন তৈরি করতে পারে না এই কারণে ডায়াবেটিস রোগীদেরকে ইনজেকশন আকারে ইনসুলিন হরমোন গ্রহণ করতে হয় আর এই পদ্ধতিটি হল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত কার্যকরী পদ্ধতি। তাই ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে আনতে ইনসুলিন গ্রহণ করতে পারেন তবে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী।

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ

প্রায় সময় বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে শোনা যায় ডাইবেটিসের কারণে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার কথা। কিন্তু আপনাদের কি সঠিক ভাবে জানা আছে ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ করতে পারে। যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন অথবা যাদের ঘরে ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা দরকার ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ ঘটতে পারে এই বিষয়টি কেননা এ বিষয়টি জানা থাকলে তবেই আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।সাধারণত ডায়াবেটিস এর মাত্রা যদি ১৬.৭ বা তার বেশি হয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে রোগীর মারাত্মক বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে এবং এ পর্যায়ে যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে।

তবে আপনাদের জেনে রাখা ভালো ডায়াবেটিস শুধুমাত্র অতিরিক্ত হয়ে গেলেই সেক্ষেত্রের বিপদ বা মৃত্যু ডেকে আনতে পারে তা নয় ডায়াবেটিসের মাত্রা যদি একেবারে কমে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রেও রোগীর মৃত্যুর ঘটনা নতুন কিছু নয়। আর এই কারণে যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে তাদের নিয়মিত ডায়াবেটিস চেকআপের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে কেননা ডায়াবেটিস া অতিরিক্ত হয়ে যাওয়া যেমন ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে তেমনি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কমে যাওয়ায় ব্যাগে আনতে পারে মৃত্যু। ডায়াবেটিসের মাত্রা যদি ৪ মিলিমোলের নিচে নেমে যায় এবং ১৬. ৭ মিলিমোলের উপরে উঠে যাই তাহলে এই দুই ক্ষেত্রেই রোগীদের মারাত্মক বিপদ এমনকি মৃত্যু ঘটতে পারে।

ভাত বেশি খেলে কি ডায়াবেটিস হয়

ডায়াবেটিস রোগীদের ভেতরে অনেকেরই একটি কমন প্রশ্ন থাকে যে ভাত বেশি খেলে কি ডায়াবেটিস হয় । তাই আজকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ভাত বেশি খেলে কি ডায়াবেটিস হয় কিনা এই বিষয়টি সম্পর্কে। ডায়াবেটিস যেহেতু একটি অত্যন্ত জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদ রোগ তাই অবশ্যই এই বিষয়ে সকল ধরনের জ্ঞান রাখা উচিত তাই চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ভাত বেশি খেলে কি ডায়াবেটিস হয় কি না এই বিষয়টি। আপনারা সকলেই জানেন ভাতের ভেতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। 

আর কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে সুতরাং বুঝতেই পারছেন ভাত খেলে শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর মাত্রা বেড়ে যাবে এবং যার রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে শুধু ভাত নয় কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গুলো কম খেতে হবে এবং এর মধ্যে সাদা আটার রুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশেষজ্ঞগণ ডায়াবেটিস রোগীদেরকে ভাত বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গুলো কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আশা করছি ভাত বেশি খেলে কি ডায়াবেটিস হয় কিনা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

মন্তব্য, উপরিউক্ত আলোচনা মাধ্যমে এতক্ষণে নিশ্চয় ডায়াবেটিস কেন হয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলোসহ ডায়াবেটিস সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভালোভাবে জেনে নিয়েছেন। ডায়াবেটিস নামক এই রোগটির কারণে চোখ , কিডনি , হার্ট এর সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি ডেকে আনতে পারে মৃত্যও। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে এবং সঠিক সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং যেকোনো শারীরিক সমস্যা অনুভব করলে দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url