মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০টি উপায় - দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়
মাসিকের সময়টি হলো মেয়েদের জন্য খুবই সেন্সেটিভ একটি সময়।এই সময়টি বেশ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয় মেয়েদের, বিশেষকরে পেটে ব্যাথার যন্ত্রণায় মেয়েরা এই সময় বেশি কাতর হয়।আর তাই আজকে এ সমস্যার সমাধান হিসেবে আপনাদের জানাবো মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় এবং দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়
মাসিকের ব্যাপারটি যেহেতু সেন্সেটিভ একটি বিষয় তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে রাখা সব মেয়েদের উচিত।তাই আজ এ পোস্টে আপনাদের জানাবো মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় ও দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় ছাড়াও এ সংক্রান্ত আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।আজকের পোস্টে আপনারা আরো জানতে পারবেন মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া সম্পর্কেও।
সূচিপত্রঃ মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় - মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া
- মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হয় কেন
- মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায়
- মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া
- দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়
- হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে করণীয়
মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হয় কেন
প্রায় সব মেয়েদেরই মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলেও ,অধিকাংশ মেয়েরাই জানে না মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হয় কেন ব্যাথা কেন হয় তার সঠিক কারণগুলো।তাই আজকে আপনাদের মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো জানানোর আগে মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হয় কেন এ বিষয়ে জানাবো।সহজ ভাবে বলতে গেলে ,মাসিকের সময় জরায়ুর সংকোচন এবং প্রসারণ এর কারণে পেটে ব্যাথা হয়ে থাকে।আর এ সময় জরায়ুর সংকোচন এবং প্রসারণ হওয়ার কারণ হলো
মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায়
আপনারা অনেকেই হয়ত মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো জানেন না আর মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো জানেন না বলেই এই সময় পেট ব্যাথা কমাতে ব্যাথা নাশক ঔষধ গুলো গ্রহন করে থাকেন।কিন্তু আপনি জানেন কি এই ব্যাথা নাশক ঔষধগুলাও শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর।নিজের শরীরকে ক্ষতির হাত থেকে বাচাতে আজঅই জেনে নিন ঘরোয়া ভাবে মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো এবং বাদ দিন ব্যথা নাশক এই ঔষধগুলো।মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো হলো।
গরম পানির সেকঃ মাসিকের সময় পেট ব্যথা হলে পেটে গরম পানির সেক দিতে পারেন অথবা ইউজ করতে পারেন হট ওয়াটার ব্যাগ। হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে সেঁক দিলে মাসিকের সমএর পেট ব্যথা থেকে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।পানি পান করুনঃ মাসিকের সময় বেসি বেসি পানি পান করা উচিত কারণ শরীর হাইড্রেট থাকলে সে ক্ষেত্রে মাসিকের সময় হওয়া পেট ব্যথার সমস্যা অনেক কম হয় , মাসিকের পেট ব্যথা হলে পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করুন ।
ল্যাভেন্ডার অয়েলঃ মাসিকের ব্যাথা কমাতে ব্য ব্যবহার কোরতে পারেন লেভেন্ডার অয়েল।লেভেন্ডার অয়েল দিয়ে কয়েক মিনিট পেটে ম্যাসাজ করলে মাসিকের ব্যথা থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই লেভেন্ডার অয়েল মালিস করতে পারেন মাসিকের পেট ব্যথা কমানোর জন্য।
আদা চা পান করাঃব্যাথা দূর করার ব্যপারে আদার অবদাব বলার অপেক্ষা রাখেনা। যেকোন ব্যাথা দূর করার পাশাপাশি মাসিকের পেট ব্যথার সময় ঘন ঘন আদা চা পান করলে , পেটের ব্যথা থেকে অনেকাংশে আরাম পাওয়া যায়।
এলোভেরার জুসঃ অ্যালোভেরার জুস পান করা হলো মাসিকের ব্যাথা কমানো কার্যকরী একটি উপায়। আপনি যদি একটু কষ্ট করে অ্যালোভেরার জুস পান করতে পারেন তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাসিকের ব্যাথা থেকে আরাম পাবেন। আপনি চাইলে অ্যালোভেরার জুস এর সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন,
ব্যায়াম বা হাটাহাটিঃ মাসিক ব্যথা দূর করতে স্থির বসে না থেকে হাটাহাটি ঘরের ছোটখাটো কাজ বা হাল্কা ব্যায়াম করতে পারেন।মাসিকের ব্যথা কমাতে এই রকম হালকা ধরনের ব্যায়াম গুলো অনেক হেল্প ফুল হয়। কিন্তু মাসিকের সময় ভারী কাজ বা ভারী ব্যায়ামগুলো করতে যাবেন না ,এ সময় ভারী ব্যায়াম না করাই বেটার।
গরম দুধঃ গরম দুধ পান করলেও আপনি মাসিকের সময় পেটব্যথা মুক্তি পেতে পারেন। গরম দুধ মাসিকের সময় হওয়া পেট ব্যাথার কমানোর সাথে সাথে আয়রনের ঘটতি পূরনেও সাহায্য করবে।তাই মাসিকের দিন গুলোতে গরম দুধ পান করার চেষ্টা করুন।
হালকা গরম পানিতে গোসল করুনঃ মাসিকের সময় হওয়া পেট ব্যথা কমাতে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন।হালকা গরম পানিতে গোসল যে কোন ধরনের পেট ব্যথা কমাতে অনেক ভালো কাজ করবে।হাল্কা গরম পানিতে গোসল শুধু মাসিকের সময় পেট ব্যথা কমাতে নয় এই সময় হওয়া মানসিক চাপ ও স্ট্রেস থেকেও অনেকটা মুক্ত রাখবে। পিরিয়ডের বা মাসিক চলাকালীন পেট ব্যথা কমানোর সহজ একটি ঘরোয় উপায় হলো হালকা গরম পানিতে গোসল।
ভাজাপোরা না খাওয়াঃ মাসিকের সময় ভাজাপোড়া খাবার গুলো খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখুন।কারন এ খাবার গুলোতা পেটে অ্যাসিডিটিএ সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং মাসিকের ব্যাথা এবং এ্যাসিডিটির ব্যাথা এক হয়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ করে দিতে পারে।
ব্যথা কমানোর খাবার খানঃ মাসিকের সময় খাদ্য তালিকায় যুক্ত করার চেষ্টা করুন ব্যাথা কমানোর খাবার গুলো।এই সময় খাবার তালিকায় রাখতে পারেন কমলা , কলা , আনারস , কাঁচা পেঁপে , ব্রকলি , বিট , পালং শাক, বাদাম , গ্রিন টি , সবুজ শাকসবজি ,ওটস , ডার্ক চকলেট জাতীয় খাবার গুল।
মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া
মহিলাদের মধ্যে অনেকেই মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া জানতে চান।যারা ইসলামিক ভাবে মাসিকের ব্যাথা কমাতে চান তাদের আজ জানাব মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া।আপনারা যদি মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া গুলো আমল করেব এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন তাহলে অবশ্যই উপকার পাবেন।তাহলে চলুন আর দেরী না করে মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া জেনে নিন।
দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়
- নিয়মিত কয়েকদিন পেঁপের রস খাওয়া
- পানির ভিতরে দু-এক চামচ জিরা গুড়া দিয়ে সেই পানিটি নিয়মিত কয়েকদিন খাওয়া
- অ্যালোভেরার শরবত খাওয়া
- বাইরের ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা
- অস্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া
- মানসিক চাপমুক্ত থাকা
- বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন ঠিক রাখা
- নিয়মিত ছোটখাটো শারীরিক ব্যায়াম করা
হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে করণীয়
হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে অবশ্যই এটি একটি চিন্তার বিষয় তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে করণীয় হিসেবে আপনি ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন অথবা ঘরোয়া ভাবে কিছু নিয়ম ফলো করে এটি সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন। এবার তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে করণীয় কি।অ্যালোভেরাঃ হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে আপনি অ্যালোভেরার শরবত বানিয়ে খেতে পারেন এটি আপনার মাসিক ক্লিয়ার করতে খুব সাহায্য করবে। মধুর সাথে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে শরবত তৈরি করে সেই শরবতটি কয়েকদিন রেগুলার খেতে পারেন।
ধনেঃ আমরা সকলেই জানি বিভিন্ন মসলার মধ্যে রয়েছে ওষুধই অনেক গুন হঠাৎ করে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে ধোনের গোড়া সিদ্ধ করা পানি ফুটিয়েছে কে পান করলে মাসিক বন্ধের সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।
আদাঃ ধোনের মতন আদাতেও মাসিক রেগুলার করার ঔষধি গুণ রয়েছে। ভরা পেটে কয়েক দিন আদার রস খেলে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যাবে।
পেঁপেঃ কাঁচা পেঁপের রস মাসিক ক্লিয়ার করতে খুব ভালো কাজ করে । তবে পেটের মাধ্যমে আপনি যদি বন্ধ হয়ে যাওয়া মাসিক ক্লিয়ার করতে চান তাহলে কয়েকদিন রেগুলার পেঁপের রস বানিয়ে সেটি খেতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ অস্বাস্থ্যকর খাবার মাসিক বন্ধের একটি অন্যতম কারণ এই কারণে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে বাইরের অসুস্থতার খাবার না খেয়ে ঘরের স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো খাওয়ার। আপনি নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে থাকলে আপনার মাসিক বন্ধ হওয়ার সমস্যাটি ধীরে ধীরে কেটে যাবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url